শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। এসব যানবাহনের অনেক চালকই অনভিজ্ঞ, কমবয়সি এবং লাইসেন্সবিহীন। এতে প্রায় ঘটছে সড়কে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের নেই কোনো তৎপরতা।
যাত্রী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়ায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে চুকনগর আঠারো মাইল, কাঁঠাল তলা, টিপনা নতুন রাস্তা, থুকড়া শাহাপুর, শৈলগাতিয়াসহ মহাসড়কে বন্ধ করা যায়নি নিষিদ্ধ ঘোষিত তিন চাকার যানবাহন। মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিসহ নানা ধরনের তিন চাকার বাহন। আবার অনেক স্থানেই দেখা গেছে উল্টো পথে দাপটের সঙ্গে চলছে এসব যানবাহন। এসব যানবাহনের কোনোটির নেই ফিটনেস সার্টিফিকেট, নেই সড়কে চলাচলের কোনো কাগজপত্র। সাভার হাইওয়ে পুলিশের নেই কোনো তৎপরতা। তবে অভিযোগ রয়েছে- পুলিশের এক শ্রেণির লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় দিনের পর দিন চলছে এসব যানবাহন। এসব যানবাহনের চালকদের অনেকেই অনভিজ্ঞ এবং কম বয়সি চালক দ্বারা পরিচালিত এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। ফিটনেসবিহীন ও সরকার নিষিদ্ধ এসব যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়াও যানজট ও জনভোগান্তি হচ্ছে চরমভাবে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে নানাভাবে লাঞ্ছিত হতে হয় যাত্রীদের। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, মহাসড়কে পুলিশ গাড়ি ধরার পরে আগে মামলা দিতো কিন্তু এখন আর মামলা দেয় না খালি ২৫শ থেকে ২৬শ টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। কোনো কাগজপত্র দেয় না। আর টাকা না দিলে গাড়ি বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইজিবাইক চালক জানান, মহাসড়কে মাঝেমধ্যেই হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি ধরে টাকা দিলে আবার ছেড়ে দেয়, আর মানতি না নিলে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালাতে দেয় না এই রুটে। খর্নিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জানান, থ্রি হুইলার জাতীয় কোনো যান যাতে মহাসড়কে না চলে, তার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি এবং অভিযান করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত