জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনার তেরখাদার কৃতি সন্তান মো. রিজভী আলম। একজন উদীয়মান ও তরুন আওয়ামী লীগ নেতা এবং উচ্চ শিক্ষিত। তিনি স্পেনে থেকেও এলাকার মানুষের সেবা করার জন্য প্রবাস জীবন ছেড়ে মা মাটি মানুষের সেবা করার চেষ্টা করছেন। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ (তেরখাদা-রূপসা-দিঘলিয়া উপজেলা) থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয়, আর যদি জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন তা হলে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করব।
মো. রিজভী আলম তেরখাদার পানতিতা গ্রামের মরহুম ডা. রওশন আজমের পুত্র। তিনভাই স্পেন প্রবাসী। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে বিএ সম্মান ও এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। স্পেনের ইউনিভার্সিটি অফ জন কার্লস মাদ্রিদ থেকে ডিপ্লোমা ইন স্প্যানিস ল্যাংগুয়েজ ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্পেন শাখার শাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধু কমিশন ইউএস এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখার জিয়া হলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্যসহ বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মো. রিজভী আলম ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল ১ ও ২ আসন, ২০১৪ সালে খুলনা-১ ও ৪ আসন এবং ২০০১৮ সালে খুলনা ৪ ও ৬আসনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্রলীগ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মামলায় জেল খেটেছেন। ২০০২ সালের ৭ জুন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কলাভবনে কেন্দ্রে এম এ পরীক্ষা চলাকালে রমনা থানার ঈগল টিম তাকে গ্রেফতার করে। তিন মাসের ডিটেনশন দিয়ে ১৩টি মামলায় আসামী করে। কারাগারে থেকে পরীক্ষা দিয়ে এম এ পাশ করেন। ২০০২ সালে ৪সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে হাজিরা দিয়ে খুলনা আসার পথে দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌছালে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করে এবং মৃত্যু ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। তিনি একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। হামলা, মামলা ও নির্যাতনের পরও তিনি ছাত্রলীগ ত্যাগ করেননি। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রথমে জার্মানি ও পরে স্পেনে যান।
২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করলে তিনি বেলজিয়ামে ইউরোপিয়ান পার্লমেন্টে গিয়ে তার মুক্তির দাবিতে এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী মি. লাডি বাবা লোলার মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান করেন। ভিসানীতির বিরুদ্ধে রিজভী আলম, তার ভাই ড.রাব্বি আলম ও ড. শের আলম আমেরিকার ফেডারেল আদালতে বাদি হয়ে গত ১০জুলাই মামলা করে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনা কালিন সময় তিনি মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবা করেন। অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়ার নানাবিধ সমস্যা সমাধান, ভুতিয়ার ও বাসুয়াখালি বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। উপজেলাকে উন্নয়ন ও উন্নয়নমুখি করে আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরিত করা হবে। এলাকাবাসীর সেবা করার মধ্য দিয়ে তিনি সকলের কাছে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করছেন।