
প্র্রভাবশালীদের মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন সালাম মূর্শেদী
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্র্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদেীর বিরুদ্ধে সাধারণ ভোটারদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান, প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট তাঁর পক্ষে নেওয়ার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া হত্যা মামলার আসামি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন, নৌকায় ভোট না দিলে বয়স্কভাতাসহ সকল ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকসহ সাধারণ মানুষদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা। নির্বাচনে ভরাডুবির আশংকায় তিনি এসব করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুওে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলী এবং ৩৮টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিরাপত্তা জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “খুলনা ৪ আসনের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা হচ্ছে আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপির কর্মী সমর্থকদের আচরণে। দিন দিন তাদের আচরণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার পথকে অনিশ্চিত করে তুলছে। আমার কর্মী সমর্থক, সাধারণ মানুষদের প্রাণনাশের হমকিসহ সাধারণ ভোটারদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। একের পর এক নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। হুমকি প্রদান করা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিও। আব্দুস সালাম মূর্শেদীর ভাগ্নে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (তেরখাদা), পি আই ও (তেরখাদা) সহ বেশ কয়েকজন চাকুরে এবং সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, রূপসা কলেজ, সৈয়দ আরশাদ আলী এন্ড সবুরুন্নেছাা গালর্স কলেজের যে সকল শিক্ষকবৃন্দ প্রিজাইডিং অফিসার বা সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পাবেন তারা ইতিমধ্যে রূপসা কলেজের অধ্যক্ষ ফ ম সালাম ও বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফেরদাউস সরদার সংসদ সদস্য সালাম মূর্শেদীর পক্ষে কাজ করছেন। রূপসা কে আরশাদ আলী এন্ড সবুরুন্নেছা গার্লস কলেজের সভাপতি সালাম মূর্শেদীর স্ত্রী মিসেস শারমিন সালাম প্রভাবিত করে ভোটে পক্ষ অবলম্বন করতে এক প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাদেরকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার আহবান জান্ইা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে কয়েক জায়গাতে তাঁর কর্মিদের শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। দিন দিন খুলনা ৪ এর নির্বাচনী পরিবেশ নির্বাচনের অনুপযুক্ত হয়ে উঠছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকারি কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে খুলনা ৪ আসনের বাইরে বদলি করার দাবি জানান। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা বুঝবেন, ষড়যন্ত্রকারিরা বাংলাদেশের, শেখ হাসিনার, নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করতে এবং জোরপূর্বক কেটলি মার্কার জয়কে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে আব্দুস সালাম মুর্শেদী পরাজয় নিশ্চিত জেনে তিনি ও তার সমর্থকেরা বিরুপ আচরণ করছেন। ভোটারদেরকে তারা বলছে ভোট যেখানে দাও ঘোষণা আব্দুস সালাম মুর্শেদীর হবে। তিনি বলছেন “ভোট গননা হবে উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে”। এসব কথা বলে ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাইছেন। তিনি বলেন, “এছাড়া আমরা জানতে পেরেছি কিছু চেয়ারম্যান ও মেম্বররা বিভিন্ন নিরীহ ভাতা ভূগীদের তাদের কথা মত ভোট না দিলে তাদের সকল ভাতা বন্ধ করে দিবেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানাচ্ছি।”
এস এম মোর্তজা রশিদী দারা ৩৮ টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ন ও অধিক ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এগুলো হচ্ছে দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নে ৫ টি, গাজীরহাট ইউনিয়নে ৫টি, ঘাটভোগ ইউনিয়নে ৩টি, ছাগলাদাহ ইউনিয়নে দুটি, শ্রীফলতলা ইউনিয়নে ৬টি। এছাড়া অধিক ঝুকিপূর্ন কেন্দ্রগুলো হচ্ছে রামনগর ও রহিম নগর এলাকার ৩টি, বাগমারা কেন্দ্রে দুটি, ইলাহীপুরে একটি, নৈহাটিতে একটি, নৈহাটি ও দেবীপুরে দুটি, চর রূপসার একটি, জয়পুর তালিমপুরের একটি, শ্রীরামপুর ও নেহালপুরে দুটি, আমদাবাদ ও মাছুয়াডাঙ্গায় একটি, জাবুসায় দুটি এবং সামন্তসেনায় একটি কেন্দ্র রয়েছে।

