পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল, পাইকগাছা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের
মনোনয়ন পত্র জমা দানের শেষ দিন পর্যন্ত খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে জেলা ও পাইকগাছায়
সর্বমোট ১২টি মনোনয়ন পত্র
সংগ্রহ করেছেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিন শেষে খুলনা জেলা রিটার্নিং অফিসার এবং পাইকগাছায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
পাইকগাছায় দাখিল করেছেন ৫ জন। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে পাইকগাছায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন জানান, এখানে মোট ৫ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। মনোনয়ন পত্র জমাদানকারীরা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান, বিএনএম প্রার্থী এসএম নেওয়াজ মোরশেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম, জাতীয় পার্টির সাবেক উপজেলা সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর ও মো. অহেদুজ্জামান মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৭ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। জমাদানকারীরা হলেন, স্বতন্ত্র হিসেবে এস এম রাজু, এনপিপি থেকে মোঃ আবু সুফিয়ান, জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো.শফিকুল ইসলাম মধু, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম, স্বতন্ত্র গাজী মোস্তফা কামাল, তৃণমূল বিএনপি’র গাজী নাদীর উদ্দীন।মনোনয়নপত্র দাখিলের পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান বলেন, পাইকগাছা- কয়রা’র মানুষ আওয়ামী লীগ কে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছেন। নির্বাচিত হলে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ কে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনএম প্রার্থী এসএম নেওয়াজ মোরশেদ জানান, উপকূলীয় অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছি।
যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে তরুণ প্রার্থী হিসেবে জনগণ আমাকেই বেছে নেবে।
দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম জানান, আমি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত।
আওয়ামীলীগ আমার রক্তে মিশে গেছে। স্থানীয় জনসাধারণের চাপে ও নির্বাচনটা উৎসবমুখর করতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। উপকূলীয় প্রবণ
আমার নির্বাচনী এলাকা। এখনকার মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তার ফসল ঘরে তোলার কথা ব্যক্ত করেছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক উপজেলা সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর এর অভিব্যক্তি তে জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানুষের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে আমি কাজ করছি এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে চলেছি। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন আমাকে যদি সুযোগ দেন তাহলে অবিচার, দুর্নীতি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব এবং অবহেলিত এই জনপদকে নতুন ভাবে গড়ে তুলবো। যাতে নতুন প্রজন্ম কাজ করতে পারে, বহিরাগতরা এসে এই অঞ্চলের নতুন প্রজন্ম কে যাতে নষ্ট করতে না পারে। সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। দৈনিক জন্মভূমির এ প্রতিনিধিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন জানান, খুলনা ৬ আসনে জেলা এবং পাইকগাছায় মোট ১২ টি মনোনয়ন পত্র দাখিল হয়েছে। পাইকগাছায় ৫ জন।আমি সকল প্রার্থীকে অনুরোধ জানাব নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশনা এবং আচরণবিধি সহ যে নিয়ম নীতি আছে সেগুলো যাতে প্রতিপালন করা হয় এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই। যাতে পাইকগাছা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি। এসময়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সামিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।