জন্মভূমি রিপোর্ট : মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুলনার পৃথক তিনটি স্থান হতে তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের দুইজনের পরিচয় মেলেনি। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে? তাও নির্দিষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। একজনের ফিঙ্গার প্রিন্টেও নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়নি। আরেকটি লাশ পঁচে যাওয়ায় আঙ্গুলের ছাপ অকার্যকর। অপরজনের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এসব মৃত্যুর সাথে জড়িত সন্দেহে কেউ আাটক কিংবা গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে খুলনা রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম হতে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। মরদেহের পরণে ছিল প্যান্ট ও গেঞ্জি। নিহত ব্যক্তি ভবঘুরে ছিলেন। তিনি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন খাবার হোটেলে পানি সরবরাহ করতেন। সিআইডি এবং পিবিআই এর পৃথক দু’টি টিম মৃতের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেও নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। খুলনা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফেরদৌস আলম খান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। স্ট্রোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে লাশ ময়না তদন্তের খুমেক হাসপাতালের মর্গে ছিল। থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছিল। সোমবার বিকেলে রূপসা উপজেলার জাবুসা চৌ রাস্তা মোড় সংলগ্ন আইডিয়াল কোম্পানির একটি পুকুরে আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ ভাসছিল। মরদেহের দুর্গন্ধে আশ-পাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠায়। লাশে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে, আংগুল পঁচে যাওয়ায় লাশ শনাক্তের জন্য তার ফিংগার প্রিন্ট কাজে আসেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, চার/পাঁচ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তখন থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। সোমবার রাতে লবনচরা থানাধীন সাচিবুনিয়া এলাকার একটি রাস্তার পাশ হতে সতীষ (৯০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। নিহতের মলদ্বার দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের ক্ষত ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছে, সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
লবনচরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, নিহত ব্যক্তি বটিয়াঘাটা উপজেলার খারাবাদ বাইনতলা এলাকার কইড়া গ্রামের বাসিšদা। তিনি পারিবারিক বিরোধের জের ধওে গত রোববার বিকেলে গ্রাম থেকে শহরে মেয়ের বাসায় রওনা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে নিহতের স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেছেন। ময়না তদন্ত শেষে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছিল।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত