
শেখ আব্দুল হামিদ : এদেশে খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো মেয়ের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। খেলাধুলা সব শিশুর জন্য সমান হওয়া উচিত। সরকার সকল ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। তাই দেশের সকল নাগরীককে খেলা ধুলার জন্য ছেলে মেয়েদের উৎসাহ দিতে হবে।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় তেতুলতলা টাওয়ার মাঠে গতকাল বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘শিশু ও কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে খেলাধুলা বিষয়ক’ এ্যাডভোকেসি ইভেন্টে’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব মোা: নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন। ‘তিনি বলেন, “গড়ণঝ” এই দেশের সকল শিশু বিশেষ করে মেয়েদের জন্য ঝ৪উ এর উপর বিশেষ ফোকাস প্রদান করছে।’
ইউনিসেফ ঢাকা বাংলাদেশ ওআইসি প্রধান, (চাইল্ড প্রোটেকশন) এলিসা কল্পনা বলেন, ‘এপ্রিল ২০২২ সাল থেকে ইউনিসেফ উদ্ভাবনী পন্থা ব্যবহার করে উন্নয়ন ও প্রতিরোধে খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সাথে সহযোগীতা করে চলেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা ৪ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে প্রভাবিত করে।” বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম। বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা (ডিএসও) জি. বখতিয়ার রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অফিসার ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগ্যাম, ফিল্ড অফিস প্রধান কাউসার হোসেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, ওসি মো: শওকত কবির প্রমুখ। পরে নারীদের ফুটবল, কাবাডি ও ক্যারাতি খেলা অতিথিবৃন্দ উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য গত জুলাই মাসে দুর্বৃত্তদের হামলায় মঙ্গলী বাগচী, সাদিয়া নাসরিন, হাজেরা খাতুন ও জুঁই মন্ডল আহত হয়। তারা হ্যাপ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলায় এই হামলা হয়েছিল। মঙ্গুলী বাগচী ও সাদিয়া নাসরিন খুলনা অনূর্ধ্ব ১৭ দলের ফুটবল খেলোয়াড়। তারা স্থানীয় ‘সুপার কুইন ফুটবল একাডেমিতে’ অনুশীলন করেন। হামলা ঘটনার পর তাদের অনুশিন এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল। পরে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মেয়েরা এখন প্রতিদিন মাঠে খেলা করে।