হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার হেলালপুর গ্রামের বাড়ির আঙিনায় পতিত ১০ শতাংশ জমির উপর চায়না থ্রি লেবু (১২ মাসি) আবাদ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন স্কুল শিক্ষক মনিরুল।
মাত্র ৮ হাজার টাকা খরচ করে প্রথম বছরেই সকল খরচ বাদ দিয়ে ৮৩ হাজার টাকা লাভ করেছেন। বিভিন্ন ফলফলাদির গাছ লাগানো বাবার সাথে কাজ করার সেই অনুপ্রেরণা থেকেই অনেকটা শখের বসেই বাড়ির আঙিনায় পতিত দশ শতাংশ জমির উপর চায়না থ্রি লেবু বারোমাসি আবাদ করে স্কুল শিক্ষক মনিরুল ইসলামের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কথা হচ্ছিল তার নিজের হাতেই গড়া লেবু বাগানের ভিতরে। তিনি আঁখোপটে বলছিলেন ফল ফলাদির গাছের সাথে নিজেকে বন্ধুত্ব করতে পেরে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছি তেমনই আমার বাগানে কাজ করে চারটি পরিবারের কর্মসংস্থান হয়েছে।
কথা প্রসঙ্গে বললেন, চারটি বা এক হালি লেবুর দাম ৪২ টাকা থেকে শুরু করে বর্তমানে এক হালি লেবু ১২ টাকায় বিক্রি করছি। আমার বাগানের বয়স এখন দুই বছর। এবছর লেবু বিক্রি হয়েছে তাও এক লক্ষ বেশি টাকা। এখনও বাগানে যে পরিমাণ লেবুর রয়েছে তা বিক্রি করলেও আরো দুই লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
১২ মাসে চায়না থ্রি লেবু আবাদ করে সারা বছরই ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে পারতেছি সাধারণ মানুষের এটা আমার অহংকার।
তবে এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে আমাকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে লেবু গাছের জাত নির্ণয় পরিচর্যা ও সময় মত জৈব সার প্রয়োগ শিখতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বললেন, স্কুল শিক্ষক মনিরুল ইসলাম একজন প্রসিদ্ধ ও শিক্ষিত কৃষক। তিনার বাড়ির আঙিনা ও চারপাশ দিয়ে প্রায় ১২ বিঘা জমিতে সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উচ্চমূল্যের ফলনশীল ফলবাগান ও জৈব সার প্রয়োগপূর্বক সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন।
আমাদের কৃষি অফিস থেকে তাকে প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ ও কৃষি অফিস থেকে চায়না থ্রি লেবু গাছের কলম লাগানোর পরমর্শ দেওয়া হয়।সেমতাবেক তিনি চায়না থ্রি লেবুর আবাদ করায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন।
লেবুর গুণগত মান বন্ধ নাই লেবুর পরিপাটি চামড়া খুব পাতলা ও অনেক রসালো হওয়ায় একটি লেবুতে অনেক বেশি রস পাওয়া যায়। হলে চায়না থ্রি জাতের বাতাবি লেবুগুলো বাজারে প্রচন্ড চাহিদা রয়েছে এবং উচ্চমূল্যে বিক্রয় হয়।
খোকসায় চায়না লেবু আবাদ করে স্বাবলম্বী স্কুল শিক্ষক
Leave a comment