
হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পৌর এলাকার সকল ময়লা ফেলার ডাস্টবিন বানানো হয়েছে গড়াই নদীকে। এই ময়লা ফেলার জন্য দূষিত হচ্ছে সুন্দরবনের ফুসফুস খ্যাত মিঠা পানির একমাত্র উৎস গড়াই নদীর জল সহ বায়ু। নদী ভরাট হচ্ছে। এ যেন এক ভুলে তিন অভিশাপ।
৯ ডিসেম্বর সরজমিনে দেখা যায়, পৌর সভার অনুমোদিত ভ্যান গাড়ি,এলাকার সকল ময়লা আবর্জনা নিয়ে খোকসা বাজারের কোহিনূর বেকারির পাশ দিয়ে কালীবাড়ির নদী তীরবর্তী জেলেপল্লী এলাকার পাশে গড়াই নদীর তীরে ফেলে দিল।
স্থানীয়রা বাধা দিলেও মেয়র সাহেবের কথা বলে নদীর তীরের ময়লা ফেলে চলে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এভাবেই নদীতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মুরগী বাজারের আর্বজনা ফেলে নদীর ভরাটসহ এলাকার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকা বাসী। তারা আরও বলেন, ময়লা ফেলে গাড়ি নিয়ে চলে যায়, ব্লিচিং পাউডার বা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে তা করে না। বাতাসে কি গন্ধ-ভাত খেতে গেলে বমি আসে।
এদিকে প্রচুর তাপদাহ এর কারনে শিশুসহ অনেকে ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত। সরকারি ভাবে গড়াই নদীকে যদি পৌর এলাকার ময়লা ফেলার ডাস্টবিন বানানো হয়, তবে নদী ভরাটসহ, বায়ু দূষণ ও পানি দূষণের স্বীকার হবে নদী তীরবর্তী জনসাধারণ।
খোকসা পৌর মেয়র প্রভাষক তারিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, খুব দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে তার কর্মকর্তাদের নিষেধ করবেন বলে আস্বস্ত করেন। পৌরসভার নিজস্ব জায়গা কেনা হয়েছে ময়লা ফেলার জন্য। এরপরও কেন গড়াই নদীতে ময়লা ফেলা হচ্ছে এটাই এখন পৌরবাসীর একমাত্র প্রশ্ন?
তবে আজও এ বিষয়ে পৌরসভার কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি, চোখে পড়েছে ময়লা আবর্জনা আর নাকে এসেছে বিশ্রী গন্ধ।