জন্মভূমি রিপোর্ট
আজ ১৫ রমজান। রহমতের দশক পেরিয়ে আমরা অতিক্রম করছি মাগফিরাতের দশক। এ দশকের গুরুত্ব অত্যাধিক। প্রথম দশকে আল্লাহ রহমতের ধারা বর্ষণ করেন বান্দার উপর। রহমত লাভে বান্দা যখন নিজেকে আল্লাহমুখী করে; বিনয়-নম্রতা লাভ করে তখনই কেবল আল্লাহর দরবারে স্বাচ্ছন্দে উৎফুল্ল হৃদয় নিয়ে মাগফেরাত কামনা করতে পারে। তাইতো আল্লাহ রোজা ফরজ করার সময়ই বলেছেন-
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনি তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)
এই আয়াতের ভিত্তিতে আল্লাহ তাআলা ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক দ্বিতীয় হিজরিতে রমজান মাসের রোজা পালনের বিধান জারি করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা রমজানের ফরজ বিধান আদায় করছি। আল্লাহ যখন তার প্রিয় বান্দাকে কোনো কিছু দান করার ইচ্ছা পোষন করেন; তখন তাকে পরীক্ষা করেন যে, আল্লাহর প্রতি তার কতটুকু মহব্বত বা আনুগত্য রয়েছে তাও দেখেন।
কুরআন হাদিস মোতাবেক আমরা এই মাগফেরাতের দশকে আল্লাহর অধিক নিকর্টবর্তী হয়ে নিজেদেরকে তার প্রিয় বান্দা হয়ে রমজানের কল্যাণ, বরকত, মাগফেরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করব। আল্লাহ আমাদেরকে মাগফেরাতের দশকে পরিপূর্ণ আমল করার তৌফিক দিন। আমীন।