
ডেস্ক রিপোর্ট : অবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। তিনি বলেছেন, গণভোটের তারিখ ঘোষণায় যত দেরি হবে জাতীয় নির্বাচন ততো সংকটের মধ্যে পড়বে।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ঐক্যমত্য কমিশন সরকারের কাছে যে রিপোর্টটা দিয়েছে ওখানে ওনারা কংক্রিট কোনো কথা বলেননি। বলছেন যে, জাতীয় নির্বাচনের দিনে অথবা আগে যেকোনো সময় (গণভোট হতে পারে)। অর্থাৎ তারা ঝুলিয়ে রেখেছে। এইটা বলাতে একটা ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বল চলে গেছে সরকারের কোর্টে। এখন সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আন্দোলনরত দলগুলোর পক্ষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের সব দলের পরিষ্কার বক্তব্য— ঐক্যমত্য কমিশন যদি সুনির্দিষ্ট করে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোটের তারিখটা বলে দিতেন তাহলে কিন্তু আর ঝামেলা পাকাইতো না।’
তিনি আরও বলেন, এখন দু’একটা দল, যারা একই দিনে গণভোট আর জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছেন, এই কথায় তারাও কথা বলার সুযোগ পেলেন। আর আমরা যারা আগে থেকেই চাচ্ছি তাদেরও কথা বলার সুযোগ থেকে গেল। মাঝখান দিয়ে ঐকমত্য কমিশন বেঁচে গেছে।
গোলাম পরওয়ারের ভাষ্য, আমরা আজ এই ৮টি দল পরিষ্কারভাবে বলতে চাই সরকারের এখন দায়িত্ব পড়ে গেছে খুব দ্রুত গণভোটের তারিখ ঘোষণা করা। গণভোটের তারিখ যদি আগে ঘোষণা করা না হয়, আগে বলতে জাতীয় নির্বাচনের আগে, যত দেরি করা হবে ততই কিন্তু মূল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে নতুন সংকট দেখা দেবে।
ফেব্রুয়ারিতেই আমরা নির্বাচন চাই— এমন মন্তব্য করে গোলাম পরওয়ার জটিলতা এড়ানোর জন্য নভেম্বরের মধ্যে দ্রুত গণভোটের তারিখ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, তেমনি ঐক্যমত্য কমিশনেরও প্রধান। দুই প্রধান হিসেবে উনার দায়িত্ব হয়ে পড়েছে জাতিকে সংকটমুক্ত করা, সংশয়মুক্ত করা। রাজনীতির আকাশে যে মেঘ জমেছে সেটাকে দূর করে একটা আলোর নিশানা উনিই দিতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ।
তিনি সমমনা দলগুলোর পক্ষে আগামীকাল ৩০ অক্টোবর পাঁচ দফা দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান এবং ৩ নভেম্বর বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত