জন্মভূমি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ভিসানীতি আরোপ করেছে। রোববার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এবার এ নিয়ে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বা ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট।
সোমবার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে আসা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্ন ও উত্তরের বিস্তারিত ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে আরোপ করা ভিসানীতি গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল, বিরোধী দল ও ব্যক্তিত্ব এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির ওপর প্রযোজ্য।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই ভিসানীতি কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে’ নজর রাখার কথা জানিয়ে চলতি বছরের মে মাসে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এ ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে কাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, সে নাম প্রকাশ করা হয়নি।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেন দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশনের ওয়াশিংটন প্রতিনিধি। এ সময় রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, তার সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
প্রশ্নটি দ্বিতীয়বার শুনে নিয়ে তিনি বলেন, ভিসা নীতির আওতায় কারা পড়েছেন নির্দিষ্ট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এটি বেশ স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, এর আওতায় পড়বেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা।
বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মিলার।