আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধে আরও ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। নিহত ওই দুই সৈন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গিভাতি ব্রিগেডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
একই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক সেনা। রোববার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে শনিবার সেনাবাহিনী জানিয়েছে। এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত ওই দুই সৈন্য গিভাতি ব্রিগেডের শেকড ব্যাটালিয়নের সাথে কাজ করছিল।
একই ঘটনায় অপর এক সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলি এই সেনাদের হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেয়নি দখলদার সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত সামরিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ এই দুই সেনার মৃত্যুসহ নিহত মোট ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা ৭৮০ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ৫ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজায় প্রাণঘাতী আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসকে পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দেওয়ার নামে সেখানে অভিযান চালানোর পাশাপাশি এলাকাটি অবরোধ করে রেখেছে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চার সপ্তাহ আগে আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর গাজায় ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ছে মার্কিন রণতরী, মোতায়েন হচ্ছে বোমারু
এদিকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় একদিনে আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৩১৪ জনে পৌঁছেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।