জন্মভূমি ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখন বহুমুখী লড়াই চলছে। তার মধ্যে একটি হলো খাবার বা ত্রাণের জন্য লড়াই। গাজায় প্রতিনিয়ত ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে, এগুলো থেকে ত্রাণসামগ্রী বের করে রাস্তায় ফেলে ধ্বংস করে উল্লাস করছে বর্বর ইসরায়েলিরা।
মিশরের সীমান্তে রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ার পর এখন গাজায় ত্রাণ প্রবেশের প্রধান করিডোর ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী কেরেম শালোম ক্রসিংয়।
কট্টরপন্থি ও বর্বর ইসরায়েলিরা এই ক্রসিংয়ে প্রতিটি ত্রাণবাহী ট্রাক থামিয়ে এগুলো রাস্তায় আছড়ে ফেলে লাথি মেরে ও থেতলে এগুলো ধ্বংস করছে। ত্রাণগুলো ইসরায়েলিদের হাত থেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গাজায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীরা। খবর বিবিসির।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ত্রাণবাহী ট্রাক অবরুদ্ধ এবং ভাংচুরের এমন অসংখ্য নির্মম চিত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে এর থেকে খাবারগুলো মাটিতে ফেলে সেগুলো পা দিয়ে পিষতে থাকে ইসরায়েলিরা। ওই ইসরায়েলিদের মধ্যে খুব অল্পবয়সী শিশুও রয়েছে।
এক ইসরায়েলি বলেন, ‘সাহায্য বন্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের জয়ের একমাত্র উপায়। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়।’
অনেকের যুক্তি, ইসরায়েলি জিম্মিদের বন্দি অবস্থায় থাকাকালীন গাজাবাসীদের কিছুই পাওয়া উচিত নয় এবং গাজাকে সহায়তা করা মানে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করা।
অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, একদল উচ্ছৃঙ্খল বিক্ষোভকারী লুট করা ত্রাণবাহী ট্রাকের উপর নাচছে। অন্য একটি ত্রাণবাহী ট্রাকে আগুন জ্বলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেইসঙ্গে ইসরায়েল থেকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় ইতোমধ্যে সাড়ে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। হতাহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।