জন্মভূমি ডেস্ক : গাজার উত্তরাঞ্চলে বোমাবৃষ্টি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হাসপাতালে আসছে লাশ আর লাশ। সঙ্গে রক্তাক্ত আহতদের নেয়া হচ্ছে। এতে হাসপাতালের ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, লাশ রাখার স্থান সংকুলান হচ্ছে না। গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় এলাকায় দখলীকৃত আল মাঘাজি শরণার্থী ক্যাম্পে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল। এমন দাবি গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরার। তিনি বলেছেন, সেখানে চালানো গণহত্যায় নিহত কমপক্ষে ৩০টি মৃতদেহ নেয়া হয়েছে আল-আকসা মার্টিরস হাসপাতালে। একটি শরণার্থী শিবিরের পানির ট্যাংকে বোমা হামলা করে তা উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। কয়েকদিন ধরে এতে হামলা চালালেও তা অক্ষত ছিল। কিন্তু শনিবারের হামলায় তা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।
ওদিকে ইসরাইলের নৃশংসতায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৯৪৮৮। জাতিসংঘ বলেছে, অভ্যন্তরীণভাবে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থীদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন কমপক্ষে ৭ লাখ ১০ হাজার মানুষ। এসব কেন্দ্রে মানুষে এত গাদাগাদি যে, তাতে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। সঙ্গে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এসব মানুষ। একই সঙ্গে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ক অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়ায় জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন অবস্থায় আরব দেশগুলো অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি দাবি করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে তাতে যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস পুনর্গঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে। এরই মধ্যে ইসরাইল সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শনিবার আম্মানে সাক্ষাৎ করেছেন লেবানন, কাতার ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে। তিনি এই যুদ্ধে মানবিক বিরতির পক্ষে কথা বলেছেন।
গাজায় তীব্র বোমা হামলা ও সাধারণ মানুষের অকাতরে প্রাণহানিতে বিশ্বজুড়ে ইসরাইলবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। এতে বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ছে। ইসরাইলে নিযুক্ত নিজের রাষ্ট্রদূতকে শনিবার তলব করেছে তুরস্ক। বুধবার নিজের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে জর্ডান। গাজায় নারী ও শিশুদের হত্যার সঙ্গে নেতানিয়াহু দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত