জন্মভূমি ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদেমির পুতিন বলেছেন, গাজায় যা করছে ইসরায়েল- এটাকে কোন অবস্থায়ই যুদ্ধ বলা যাবে না।এটা আসলে সব ফিলিস্তিনিকে হত্যার নৃশংস পরিকল্পনার বাস্তরায়ন।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক ফোরামে (স্পিফ) বুধবার (৫ জুন) আনাদোলুসহ বিদেশি সংবাদ সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেছেন পুতিন। খবর আনাদোলুর।
এ সময় আনাদোলুর বার্তা বিভাগের প্রধান ইউসুফ ওজহান পুতিনকে বলেনর, তিন বছর আগে আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম, সেই প্রশ্নটা আবারো আজ করছি- আমরা দেখেছি ইউরোপ-আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ গাজায় ইসরায়েলের বর্বতার নিন্দা জানাতে রাস্তায় নেমেছেন।তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে দ্বি-রাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সংঘাতের অবসান চান। রাশিয়ারও কি এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে। ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে রাশিয়া কী অবদান রাখতে চায়?
উত্তরে পুতিন বলেন, আমি চাই- ফিলিস্তিনে বর্বরতা এখনই বন্ধ করা হউক, আমরা বেসামরিক লোকজনের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানো বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। গাজায় ইসরায়েল যে সন্তাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, তাকে যুদ্ধ বলা যায় না- এটা আসলে গাজার সব মানুষকে হত্যার একটা নীল নকশা বাস্তরায়ন করছে ইসরায়েল।
এ জন্য যুক্তরাষ্ট্ররেও কড়া সমালোচনা করেন পুতিন। তিনি বলেন, নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য মদদের পাশাশি অস্ত্রও সরবরাহ করে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের আশকারা পেয়ে দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে ইসরায়েল।আমরা বিশ্বাস করি, মার্কিন এই একপেশে নীতির কারণেই ওই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।
পুতিন বলেন, এখানে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশাপশি আরেকটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এ সংঘাত চলতেই থাকবে।
আমরা বহু আগেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি- সেই সোভিয়েত ইউনিয়নের জামানায়।এ ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান আগের মতো এখনো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে।
পুতিন এ সময় ওই তুর্কি সাংবাদিককে বলেন, ফিলিস্তিনে তুস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ব্যাপক সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের এ বর্বরতা বন্ধে বহু চেষ্টা করে যাচ্ছেন এরদোগান। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান পুতিন।
এ সময় তিনি পশ্চিমাদের দ্বি-মুখী আচরণ ও নীতির জন্য তাদের কড়া সমালোচনা করেন।পুতিন বলেন, মুখে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বললেও, গোপনে তারা ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য অস্ত্রও পাঠাচ্ছে।