ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
বিল ডাকাতিয়া পানি ব্যবস্থাপনা এসোসিয়েশন এর ২৫ নং পোল্ডার অধিন গাড়াখোলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি সালমা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও সেচ্ছাসারিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর, নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবার সাবেক সহ সভাপতি ফোরকান শিকদার ও তার ২ পুত্র শমিম শিকদার, সিহাব শিকদার, রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়রানি করার উদ্দেশ্য ফুলতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। সাবেক সভাপতি ফোরকান শিকদার সালমা বেগমের হয়রানি থেকে রেহায় পেতে প্রশাসনের বিভিন্নস্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর ২৫ নং পোল্ডার অধিন গাড়াখোলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ৩ বছরের জন্য গঠিত হয়, উক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক চাকুরিতে যাওয়ার পর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও সভাপতি সালমা বেগম অবৈধভাবে একজনকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। কমিটির সভাপতি সালমা বেগমের খামখেয়ালির কারণে অনেক সদস্য কাজ ছেড়ে দেন। এছাড়া কমিটির কারো সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই অবৈধভাবে অর্থ আতৎসাতের লক্ষে সালমা বেগমের শাশুরি রশিদা খাতুনকে ক্যাশিয়ার ও তার পিতা আনছার গাজীকে ভ‚মিহীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্ভর বিল ডাকাতিয়া পানি ব্যবস্থাপনা এসোসিয়েশন গাড়াখোলা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতির বিভিন্ন অনিয়ম ও সেচ্ছাসারিতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে, গাড়াখোলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের সাবেক সভাপতি সালমা বেগম এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ২৬ শে জানুয়ারি তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে গাড়াখোলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের কমিটি অবৈধ ঘোষণা করে। এছাড়া পানি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা –২০১৪ এর ৩৪(১) মোতাবেক সংগঠনের কার্যাবলী চলমান রাখার সার্থে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করার নির্দেশ প্রদান করেন। ফোরকান সিকদার বলেন সাবেক সভাপতি সালমা বেগম দামোদার জোড়াবটতলা খাল সংস্কার বাবদ এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা, গাড়াখোলা মহলদার খাল বাবদ নিরানব্বই হাজার টাকা এছাড়া সদস্যদের জামানতের টাকা সহ মোট দুই লক্ষ উনআশি হাজার টাকা আতৎসাত করেছে, যাহা তদন্তে প্রমাণিত হয়। প্রমান হওয়ার পর সালমা বেগমকে গত ২৬ শে জানুয়ারি উক্ত কমিটির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সভাপতি পদ হারানোর পর থেকেই সহ সভাপতি ফোরকান শিকদারকে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন সালম বেগম, তার কয়েকদিন পরেই গত ১০ জানুয়ারি ফুলতলা থানায় মিথ্যা কল্পকাহিনি সাজিয়ে ফুরকান সিকদার তার দুই সন্তান শামিম সিকদার, সিহাব সিকদার ও রবিউল নামে আর এক ব্যক্তির নামে সাধারণ ডায়েরী করেছে, ভুক্তভোগিরা এ ব্যাপারে সালমা বেগমের বিরুদ্ধে সকল অবিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।