জন্মভূমি ডেস্ক : নগরীর খানজাহান আলী থানার গিলাতলা কেডিএ আবাসিক এলাকার রাস্তার উত্তর পাশের মূল সড়কের ওপর ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখা যায়। আবাসিক এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভ্যানে করে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা নিয়ে নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলছে কিন্তু ডাস্টবিনের উক্ত ময়লা অপসারনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জমতে জমতে সেটা রাস্তার ওপর চলে যাচ্ছে। কয়েকজন টোকাই পচা ময়লার স্তুপ থেকে ভাঙাচোরা প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতল ইত্যাদি কুড়িয়ে নেয়ায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়ায় তেমনি ময়লাগুলো রাস্তার উপর চলে আসছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্বাভাবিক পরিবেশ এবং বিভিন্ন রোগের উপসর্গ।
পথচারীদের দেখা যায়, নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে। কেউ-কেউ হাত দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে চলাচল করছে। পচা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই ময়লার ডাস্টবিনের পাশে আবাসিক এলাকার বসবাসরত বাসিন্দা, এলাকাবাসী, পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার-হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।গিলাতলা আবাসিক এলাকার গৃহিণী সানজিদা আক্তার বলেন, রাস্তার ওপর ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়, ডাস্টবিনের ময়লা অপসরণ করা হয় না। এ জন্য আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গিলাতলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাজ্জাদ বলেন, বাসা থেকে স্কুলে যাওয়া-আসা করার সময় ডাস্টবিনের মোড় পৌঁছলে ময়লার দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। কোনো রকমে নাক-মুখ চেপে ধরে ময়লার স্তুপ পার হতে হয়। এসব পচা ময়লা আবর্জনার গন্ধের জন্য অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গিলাতলা আবাসিকের বিভিন্ন বাসাবাড়ির ময়লা পরিছন্নতাকর্মী ভ্যানযোগে নিয়ে এসে ডাস্টবিনে ফেলছে। এ সময় পরিছন্নকর্মির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের কাজ বাসা থেকে ময়লা এনে এখানে ফেলে যাওয়া। আবাসিক এলাকার বাসিন্দা কামরুল হোসেন বলেন, নিয়মিত ময়লা ডাস্টবিন থেকে সরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। ময়লার গন্ধে এখানে বসবাস করার মত পরিবেশ নেই। তাছাড়া পচা গন্ধে এখানকার পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে। দির্ঘদিন ধরে এই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এলাকাবাসি নিয়মিত ডাস্টবিন থেকে ময়লা অপরসারণ করে এলাকার দূষণমুক্ত রাখতে কেডিএ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত