জন্মভূমি ডেস্ক : রাজধানীর গুলিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (০৬ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিকল্প অটো সার্ভিস পরিবহনের ওই বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুই ইউনিট পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করছে।
জানা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
অবরোধের প্রথমদিন শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৯টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে কককেট নিক্ষেপ ও কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে রাজধানীতে সাতটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একটি পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ভোরে ডেমরার মাতুয়াইলে সাদ্দাম মার্কেটের সামনে ও শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর ভোর সোয়া ৫টায় মিরপুর-৬ নম্বরে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
পরে সকালে মেরাদিয়ার বাঁশপট্টি এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ওই বাসের যাত্রী সবুজ মিয়া (৩০) দগ্ধ হন। সবুজ মিয়া পেশায় বাসচালক। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৈতালি নামে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। যদিও ওই আগুন তাৎক্ষণিকভাবে নেভানো সম্ভব হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলামোটর মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। বাংলামোটর পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আধাঘণ্টা পর মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ দুটি ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নেভায়।
এদিকে রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর পলাশী মোড়ে একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই প্রাইভেটকারটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে রাখা ছিল। এছাড়া একই সময়ে কারওয়ান বাজারে একটি পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পিকআপের পেছনে থাকা সোফায় আগুন লাগে। পিকআপটি ওই সোফা ফেলে দিয়ে চলে যায়।
এছাড়া রোববার ভোরে চট্টগ্রামে পতেঙ্গার ধুমপাড়া মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। সড়কের পাশে বাসটি রেখে চালক নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। হঠাৎ অটোরিকশায় চড়ে দুইজন লোক এসে বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
সকাল ১০টার দিকে হবিগঞ্জ চুনারুঘাটে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কবির মিয়া খন্দকারের প্রাইভেটকারে আগুন দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই প্রাইভেটকারে কয়েকজন যুবক পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন আগুন নেভান।
এদিন খুলনার রূপসা উপজেলার তালিমপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বিএনপির অবরোধে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পিকেটারদের ছোড়া ইটের আঘাতে সিএনজিচালকসহ যাত্রীরা আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টার পর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজার এলাকার মাওনা সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।