দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন থেকে গ্রামীন জনপদের ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষনের উপকরন মাটির মটকা বা মাইট্টা এখন ইতিহাস হয়ে গেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ঘরবাড়িতে এখন আর আগের মত নেই বললেই চলে। উপজেলায় ৮০ কিংবা ৯০ দশকের সময়ে এই সকল উপকরন ছাড়া জীবনযাপন করা একেবারেই অচল ছিল। গ্রাম বাংলায় ধান,বীজ এবং চাল সংরক্ষনের জন্য এই মাটির তৈরি বড় বড় মটকা ব্যবহার করতো। আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য গোডাউন ও সাইলো নির্মান করার ফলে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী মাটির মটকা কালের ন্বাক্ষী হয়ে গেছে। তবে উপজেলার বিভিন্ন বৃহৎ কৃষক পরিবারে মাটির এই মটকা কদাচিৎ দেখা যায়।
উপজেলায় ৮০’র দশকের পর থেকে মানুষের মধ্যে আধুনিকতা ও পরিবর্তন ছোঁয়া লেগে যায়। উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য গোডাউন নির্মান করার ফলে দিন দিন মাটির তৈরি মটকার গুরুত্ব কমে যায়। তবে একুশ শতকে উপজেলা থেকে গ্রামাঞ্চল এবং বিচ্ছিন্ন কিছু চর এলাকায় এই ধরনের উপকরন এখনও রয়েছে। উপজেলা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই সমস্ত উপকরন। গ্রাম বাংলার রূপের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হাজার বছরের সংরক্ষনের উপকরন মাটির মটকা যা এখন বিলুপ্তির পথ থেকে কালের স্বাক্ষী হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে শুকনা ধান মটকায় রেখে সংরক্ষন করতো। এছাড়া খাদ্যের প্রধান উপকরন চাল সারা বছর এই মাটির মটকায় রাখা হতো।
উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল এই বিষয়ে বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য আর সোনালী প্রান্তর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এক সময় কালের সংরক্ষনের উপকরন মাটির মটকা। সময় আবর্তে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির মটকা এখন কেবলই স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে। বিগত দিনকে পিছনে ফেলে বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীন ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত