যশোর অফিস : গ্রাহকের টাক আত্মসাতের দায়ে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহাবুব রহমানকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহাবুব রহমান নড়াইল লোহাগাড়ার ব্রক্ষ্ম মানিনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে। গতকাল বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মাহাবুর রহমান পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর উপশহরের ডি-ব্লকের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘ বছর বিদেশে থেকে ২০১১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। আসামি মাহাবুব রহমান যশোর শহরের জেল রোডের আরএস ভবনের সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে আসামি মাহাবুবের সাথে গিয়াস উদ্দিনের পরিচয়। তিনি নিজেকে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিচয়ে বীমা করার পরামর্শ দেন। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট গিয়াস উদ্দিন ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম সন্ধানীর অফিসে এসে দুইটি বীমার হিসাব খুলে ৪ হাজার ৯৮০ টাকা জমা করে রশীদ গ্রহণ করেন। ওই বছরের ২০ অক্টোবর গিয়াস উদ্দিনের বাসায় যেয়ে বীমার বাকি ২ লাখ ২৯ হাজার ৫শ’ টাকা আসামি মাহাবুব নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি জমা রশিদ পরে দিবেন বলে জানিয়ে ছিলেন। মাহাবুব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রশীদ না দেয়ায় তিনি ৪ নভেম্বর অফিসে যেয়ে টাকা জমার রশীদসহ অন্যান্য কাগজপত্র চাইলে না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি টাকা খরচ করে ফেলেছেন স্বীকার করে পর দিন টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করে একটি চুক্তিনামা করে দেন। নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেয়ায় ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ তার কাছে পাওনা ২লাখ ৩৪ হাজার ৪৮০ টাকা ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ওই বছরের ১ জুলাই প্রতারণার অভিযোগে মাহাবুব রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা বেগম। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি মাহাবুব রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।