
জন্মভূমি ডেস্ক : ঢাকার সাভারে মধ্যরাতে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটের চর উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার সাভার মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় সাবেক এক ইউপি সদস্যের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিশোরীর বড় ভাই বলেন, সোমবার রাতে আব্বু, আম্মু ও আমার ছোট বোন আগেই খাবার খায়। আমি পরে খেয়েছি। ভাত খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আম্মু জানায়- আব্বুর শরীর যেন কেমন করছে? খাবারে কিছু মেশানো হয়েছে বলে সন্দেহ করেন আম্মু। পরে আব্বুর রুমে গিয়ে ওনাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও সাড়া দেননি। তখন ভেবেছি, আব্বু অসুস্থতার জন্য হয়তো ক্লান্ত। পরে ছোট বোনের রুমে গিয়ে দেখি, সে কানে হেডফোন লাগিয়ে ভিডিও দেখছে। তাকেও কেমন যেন দেখাচ্ছিল। পরে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।
তিনি আরও বলেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠে আমার বোন জানায়- রাতে তিনজন ব্যক্তি জানালার গ্রিলকেটে ঘরে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে দুইজন মধ্য বয়সী ও একজন তরুণ। তরুণ বয়সীর লোকটি আমার বোনের বেডরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। আর দুইজন ওর হাত-পা বেঁধে মুখে রুমাল গুঁজে ধর্ষণ করে। পরে যাওয়ার সময় তারা আলমারি থেকে ২০ হাজার, মানিব্যাগ থেকে ৫ হাজার ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকারসহ দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে আমার বোনকে ভর্তি করা হয়েছে। আর আব্বু-আম্মুকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। চার বছর আগে সাড়ে চারকাঠা জমি কিনে একতলা বাড়ি করেন তারা। এর মধ্যে তাদের আধাকাঠা জমি পাশের জায়গার মালিক হাবিবুল্লাহ দখলে নেয়। এ ঘটনায় মামলা হলে তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন হাবিবুল্লাহ।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

