আলোচনায় একাধিক নেত্রী
এম সাইফুল ইসলাম : দীর্ঘদিন কমিটি নেই খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের। সম্মেলণের মাধ্যমে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেলা কমিটি দিলেও ঝুলে থাকে মহানগর কমিটি। এ নিয়ে নেত্রীদের মধ্যে অলোচনা সমালোচনা ও ক্ষোভ বিরাজ করলেও কেসিসি নির্বাচনের পূর্বে সাধারণ সম্পাদক সারমিন সুলতানা লিলিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের পরেই কমিটি ঘোষণার আশ^াস দেন।
এদিকে মহানগর কমিটিতে বিতর্কিতদের নিয়ে রয়েছে নানা সমালোচনা। এর মধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সাংগঠনিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কাজে লিপ্ত থাকার ও অভিযোগ উঠেছিল। সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। দিবস ভিত্তিক কিছু কার্যক্রম ছাড়া সাংগঠনিক তেমন কোনো কর্মকান্ডে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা নেই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটিতে এ্যাড করবিকে আহবায়ক ও নয়মী বিশ্বাস সাথী যুগ্ন আহবায়ক করা হয়। নয়মী বিশ্বাস সাথী মারা গেলে পরবর্তী যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড শিউলি সেরনিয়াবাত লাইম লাইটে চলে আসেন। এরই ভিতরে একাধিক নেত্রীকে নিয়ে নানা বিতর্কেরও সৃষ্টি হয় সংগঠনটিতে। বাতিল করা হয় মহানগর কমিটিকে। এরপরে দীর্ঘ কয়েক বছর পার হলেও কোন কমিটি দেয়নি যুব মহিলালীগ।
সম্মেলণ ঘিরে মহানগর কমিটিতে আলোচনায় রয়েছেন একাধিক নেত্রী। এর মধ্যে সভাপতি পদে সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি আফরোজা জেসমিন বিথি, অ্যাড রাবেয়া ওয়ালি করবি ও আইরিন রায়হান চৌধুরি।
সাধারণ সম্পাদক পদে নারী উদ্যোক্তা চিশতি মোস্তারি বানু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সহ প্রচার সম্পাদক নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী নাজনিন নাহার বিউটি ও নারী উদ্যোক্তা রেহেনা মর্তুজার নাম আলোচনায় রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সারমিন সুলতানা লিলি বলেন, কেন্দ্রীয় সম্মেলণ, আমি অসুস্থতাসহ একাধিক কারণে মহানগর কমিটি দেয়া সম্ভব হয়। এরপরে কেসিসি নির্বাচনের কারণে দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই কমিটি দিয়ে দেবো।