ক্রীড়া প্রতিবেদক : আহমেদ শরীফ চারটি ও ফাহাদ হোসেন তিনটি! চট্টগ্রাম বিভাগের তরুণ দুই পেসারই নিয়েছেন খুলনার সাত উইকেট। তাদের দুজনের এমন বোলিংয়ের পরও এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, আজিজুল হক তামিমদের ব্যর্থতার দিনে ৫২ রান করলেন নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের হাফ সেঞ্চুরিতে খুলনাও পায় লড়াইয়ের মতো ১৪৬ রানের পুঁজি। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির এলিমিনেটরে জয়ের জন্য খুলনার সেই রানই শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হলো।
মাহমুদুল হাসান জয়, সাদিকুর রহমান, মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন দিপু ফিরলেন দ্রুতই। ইয়াসির আলী রাব্বি ৩৭ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টা করলেন। তবে কাজের কাজ হলো না। শেষের দিকে নাঈম হাসানের অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসও বিফলে গেছে মাসুম খান টুটুল ও মেহেদী হাসান রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে। চট্টগ্রামকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে সোহানের খুলনা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের জয়ের জন্য ১৪৭ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। নাহিদুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে আল আমিন হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ রান করা জয়। আরেক ওপেনার সাদিকুর ফিরেছেন একটু পরই। মাসুমের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অফে থাকা আল আমিনকে ক্যাচ দিয়েছেন ১১ রানে। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল। মাসুমের লেগ স্টাম্পের উপর করা ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলার চেষ্টায় সীমানার কাছে থাকা শেখ পারভেজ জীবনকে ক্যাচ দিয়েছেন। চট্টগ্রামের টপ অর্ডার ব্যাটাররা যেখানে খেলতেই পারছিলেন না সেখান শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন দিপু।
যদিও তরুণ এই ব্যাটারের ইনিংস বড় হতে দেননি মেহেদী রানা। বাঁহাতি পেসারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে থামতে হয়েছে এক ছক্কা ও দুই চারে ১৪ বলে ২৩ রান করা দিপুকে। ইরফান শুক্কুরও ফিরেছেন দ্রুতই। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ইয়াসির। দ্রুত রান তুলতে না পারায় চাপে পড়েন তারা দুজন।
রানের খোঁজে মেহেদী রানাকে ছক্কা মারতে গিয়ে মিড উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচ দিয়েছেন ইয়াসির। চট্টগ্রামের অধিনায়ককে ফিরতে হয় ২৭ বলে ৩৭ রান করে। শেষ দিকে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেছিলেন নাঈম। তবে খুলনার বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ৭ রানের জয়ে মাঠ ছাড়েন সোহান-ইমরুলরা। খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী রানা ও মাসুম।
সকালের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি বিজয়, আজিজুল হক তামিম, মিঠুন, ইমরুলরা। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দলের হাল ধরেন সোহান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলে খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। অধিনায়কের এমন ব্যাটিংয়ে ১৪৬ রানের পুঁজি পায় তিন বল আগেই অল আউট হওয়া খুলনা। চট্টগ্রামের হয়ে শরীফ চারটি, ফাহাদ তিনটি এবং ইরফান একটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা বিভাগ- ১৪৬/১০ (১৯.৩ ওভার) (সোহান ৫২, আজিজুল ২০, নাহিদুল ১৮, ইমরুল ১৭, মিঠুন ১৬; শরীফ ৪/২৬, ফাহাদ ৩/২০)
চট্টগ্রাম বিভাগ- ১৩৯/৬ (২০ ওভার) (ইয়াসির ৩৭, নাঈম ৩৪*, দিপু ২৩; মেহেদী রানা ২/১২, মাসুম ২/২১)
চট্টগ্রামকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা
Leave a comment