
ডেস্ক রিপোর্ট : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রশাসন বিষয়ে মতামত তুলে ধরায় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদভুক্ত ১৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী অবসরপ্রাপ্ত ২৫ ক্যাডার সমন্বয় পরিষদ’।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলানায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের জনপ্রশাসন বিষয়ে মতামত তুলে ধরায় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদভুক্ত ২৫ ক্যাডারের ১৪ জন কর্মকর্তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরিচ্যুুত করা হয়েছে। অথচ একই সামাজিকমাধ্যমে অশালীন ও আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে পোস্ট লেখা ও শেয়ার করা সত্ত্বেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিতেও প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের বঞ্চনা লাঘবের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত ও প্রয়াত মিলে প্রায় ৭৭৮ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাদের পদোন্নতির আদেশে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির ক্রম উল্লেখ এবং বেতন ভাতাসহ সব অর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য ক্যাডারের পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপন করা হলে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে ২৫টি ক্যাডারের বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত মাত্র ৭২ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়।
কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের নামে প্রকৃতপক্ষে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা কোনো কারণ ছাড়াই বাদ পড়ে যান। অবসরপ্রাপ্ত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আদেশেও বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আদেশে শুধু বকেয়া মূল বেতন, গ্রাচ্যুইটি এবং পেনশনের জন্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত সব কর্মকর্তাদের আবেদনগুলো আমরা পুনর্বিবেচনা এবং প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতো ভূতাপেক্ষ বেতন-ভাতাসহ সব আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। যেসব ক্যাডারকে তৃতীয় বা চতুর্থ গ্রেডে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের উচ্চ গ্রেড দেওয়ার মাধ্যমে সমতা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এবং বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি স ম গোলাম কিবরিয়া, ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এম এ সামাদ প্রমুখ।

