জন্মভূমি রিপোর্ট : নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে বিদায় নিল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। চলছে জয় পরাজয়ের চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। পৌষের এই কাকডাকা ভোরে চায়ের দোকানে গরম কাপে চুমুক দিয়ে চলছে ভোটের হিসেব নিকেশ। কে জিতল, কে হারল এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে চলতে তুমুল উত্যপ্ত বাক্য বিনিময়।
কেউ কেউ বলছেন, এই নির্বাচনে একটি বড় রাজনৈতিক দলসহ কয়েকটি বেশ কয়েকটি দল অংশ গ্রহণ করেননি। ফলে অনেকটা শাসক দলের জন্য জয় সহজ হয়। এর মধ্যও চলছে জাল ভোট দেয়ার প্রবণতা। অকেটা আনন্দ ও উৎসব বিহিন ছিল এবারের নির্বাচন। সাধারণ মানুষের মাঝে ছিল আতঙ্কের ছাপ। এবারের নির্বাচনে প্রবীণদের চেয়ে নতুনরা ভোট দিয়েছে আগ্রহসহকারে। নতুনরা দলগত ভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করে পবিত্র আমানত ভোটটি তার মনোনীত প্রার্থীকে প্রদান করে গণতন্ত্র চর্চা করেন। বেঁচে নিয়েছেন সঠিক নেতা। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটেছে অপ্রতীকর ঘটনা। কেন্দ্রের মধ্যে নিরবতা থাকলেও বাইরে নেতা কর্মীদের আনাগোনা ছিল বেশী। ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী অনেক প্রার্থীদের সাথে ভোটারদের সম্পর্ক ছিলনা। যেমন প্রার্থীরা ভোটারদের চেনেন না বা জানেন না। ভোটাররা ও প্রার্থীদের চেনেন না। উড়ে এসে জুড়ে বসার মত অবস্থা। আনন্দ মিছিল না করার জন্য নিষেধ থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীদের কর্মীরা অনেক স্থানে রং মাখিয়ে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
রূপসার সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র অনিক বলেন, তিনি এ বছর প্রথম ভোট দিলেন। ভোট দিতে তার ভাল লেগেছে।
শেখপাড়া বাজারে চা পানরত মো. আব্দুল মালেক বলেন, নির্বাচনে আমেজ কম ছিল।