জন্মভূমি ডেস্ক : চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে পৌঁছেছে। ভূমিধসের এই ঘটনায় আরও দুই ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রা আর তুষারপাত অব্যাহত থাকায় উদ্ধারকাজে ব্যাপক বেগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (সিসিটিভি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনানের জেনসিয়ং কাউন্টিতে ভূমিধসের স্থানে উদ্ধারকারীরা রাতভর মাটির স্তূপ সরিয়ে ফেলার কাজ করেছেন। এর আগে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫১ মিনিটের দিকে প্রদেশটির জেনসিয়ং কাউন্টির জাওথং শহরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
সিচুয়ান ডেইলি নিউজপেপার প্রেস গ্রুপের মালিকানাধীন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কভার বলেছে, মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় সেখানে ভারী মেশিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
সিসিটিভি বলেছে, সোমবারের ভূমিধসের ঘটনায় ১৮টি বাড়ির অন্তত ৪৭ জন মানুষ নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে ২০ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এখনও আরও অন্তত ২৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে স্থানীয়রা আরও তিনজনের খোঁজ মিলছেন বলে উদ্ধারকারী দলকে জানিয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে, ভূমিধসের ঘটনায় মাথায় এবং শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত তিন বাসিন্দাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিসিটিভি বলেছে, জেনসিয়ং কাউন্টির জাওথং শহরের দুটি গ্রামে ভূমিধসটি আঘাত হেনেছে। এই ভূমিধসে পাহাড়ের পাদদেশের ঘরগুলো চাপা পড়েছে। ভূমিধসের প্রত্যক্ষদর্শী গু নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘পাহাড়টি ধসে পড়ে কয়েক ডজন চাপা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে তার চার আত্মীয় চাপা পড়েছেন।
তিনি বলেন, ভূমিধসে চাপা পড়া তার স্বজনরা ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। সিসিটিভি বলছে, ওই এলাকার ৫০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাহাড়ের ঢালের চূড়ার একটি খাড়া পাহাড় এলাকায় ভূমিধসের সূত্রপাত হয়েছিল।
সূত্র: রয়টার্স।