
চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের স্বরুপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ছাত্রের পিতা হিসেবে অভিভাবক সদস্য হওয়ার কথা থাকলেও অভিভাবকের জায়গায় ছাত্রের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভোকেশনাল শাখায় ১৫ জন ছাত্রছাত্রী থাকা সত্ত্বেও ২ জন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবককে ভোটার রেখে বাকি ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবককে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে তৈরি করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় এসব ত্রুটি পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মোঃ হযরত আলী।
অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, স্বরুপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য উপজেলার স্বরুপদাহ গ্রামের হযরত আলী বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন যে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য ১৪ নভেম্বর হতে ১৬ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র গ্রহণ এবং ১৯ নভেম্বর যাচাই-বাছাই ও বৈধ ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ ০৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক সদস্য হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তবে প্রকাশিত ভোটার তালিকা পড়ে দেখি ভোকেশনাল শাখায় ২ জন ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ বিদ্যালয়টিতে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ভোকেশনাল শাখায় লেখাপড়া করে। এমতাবস্থায় ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবককে বাদ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই অভিভাবক প্রার্থী। এছাড়াও ভোটার তালিকায় ৪৭ নম্বর ভোটারের অভিভাবক রবিউল ইসলামের নাম তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা কিন্তু না হয়ে রবিউল ইসলামের নামের জায়গায় ছেলে আলিফ হোসেনের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেন রবিউল ইসলাম ভোট দিতে না পারে এমনিই অভিযোগ করেছেন ওই অভিভাবক সদস্য। তাছাড়া নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ব্যাপক ত্রুটি থাকায় এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান বলেন, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ভোটার তালিকা করতে হবে। যদি না করা হয় তাহলে অভিযোগ পাইলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।