
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
জন্মভূমি রিপোর্ট : খানজাহান আলী থানার মশিয়ালি গ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামীরা জামিন মুক্ত পেয়ে বাদিকে হুমকি ও ভয় ভিতি দিচ্ছে। মামলা তুলে নিতে অপকৌশলে চাপ দিচ্ছে এবং নিরিহ গ্রাম বাসীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বাদি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মশিয়ালি গ্রামের শেখ জাফরিন হাসান। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে নগর ছাত্র লীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন হাসানকে হত্যার উদ্যোশে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিটুল শেখ তুহিন ও তার সহযোগিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মোডিকেল কলেজ সহাসপাতালে ভর্তি করে। তার শরীরে ৪২টি সেলাই দেয়া হয়। এঘটনায় খান জাহান আলী থানায় মামলা করা হয়েছে। জাফরিন হাসান সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন তাকে দেখতে এসে বাড়ি ফিরে যাবার পথে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বন্দুকের গুলি ও রামদা হাতে দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। ২০২০ সালের ১৬ জুলাই সন্ধ্যার পর সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা জাফরিনকে হত্যার উদ্যেশে তার বাড়িতে প্রবেশ করে । তাকে না পেয়ে তার অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে এবং তার শরীর থেকে হাতের একটি আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে। বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট করে। মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। জাফরিনের চাচাতো ভাই জিহাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যা নং ১৫।
সম্মেলনে তিনি বলেন, আলিম জুট মিলের নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক ও খান জাহান আলী থানার আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মো. জাকারিয়ার বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও আমার ভাইয়ের জিপ গাড়ি ও মোটর সাইকেলে আগুর ধরিয়ে দেয়। বড় ভাই মিলটন শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুদের মারধর, লুটপাট ভাংচুর করে ও মোটর সাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ৩৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক জাহাঙ্গীর শেখ, জুয়েল শেখ, ব্যবসায়ী আলমগীর শেখ, শিক্ষক সাগরিকা ও নুর মোহাম্মদসহ ১৬টি বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে। বাড়ির নারী ও শিশুদের ওপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। এই মামলার আসামী শহিদুল শেখ, রবি শেখ, সাজ্জাদ শেখ, মজিবর শেখ, আজাদ শেখ, বাবলু শেখ ও উজ্জল শেখ জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলার বাদি ও স্বাক্ষীদের মামলা তুলে নিয়ে হুমকি ও ভয় ভিতে দিচ্ছে। এই সব পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। গত ২৬ আগস্ট আসামী পক্ষ যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ সময় মো. নূর মোহাম্মদ শেখ, মিলটন শেখ, মিঠু মিনা, ইউসুফ গাজী ও জাকারিয় শেখ উপস্থিত ছিলেন।