এম সাইফুল ইসলাম : জমে উঠেছে খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত একুশে বইমেলা খুলনা-২০২৩ ।
শুক্রবার ছিল বইমেলার ৩য় দিন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলায় ক্রেতা দর্শকদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। বই মেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিল ওংকারশৃণুতার বাচিক শিল্পীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি অনুষ্ঠান। পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে সপ্তসুর এবং নৃত্যাঞ্জলীর শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইফফাত সানিয়া ন্যান্সী এবং তারক চন্দ্র মন্ডল।
তবে তৃতীয় দিনেও মেলায় স্টল তৈরীর কাজ চলছিল, এ নিয়ে দর্শনার্থীরা পড়ছিল বিড়ম্বনায়। পর্যাপ্ত আলো সংকট থাকায় ক্ষোভ ছিল কবি, লেখক, সাহিত্যিক ও দশনার্থীদের।
মেলার গার্ডিয়ান পাবলিকেশন নামক স্টলের প্রতিনিধি মুনতাসির মামুন বলেন, তার স্টলে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ নামক বইটি ভাল চলছে। আরিফ আদাজের লেখা বইটি নাস্তিকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের উত্তর রয়েছে।
ঢাকা থেকে আগত লেখিকা নাজমুন নাহার খুকু বলেন, এবারের বই মেলায় তার ভালবাসার খুব কাছে বইটির দ্বিতীয় সংস্করন এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে তার ৯ টি বই থাকছে মেলায়।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেলায় আলোর স্বল্পতা কম থাকায় দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় তেমন চোখে পড়ছে না। মেলা শুরুর দিকে ছুটির দিন থাকায় দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়ছে।
আসফিয়া লাইব্রেরী নামক স্টলের প্রতিনিধি কেএম তুহিন বাবু বলেন, এবার শুরু থেকেই বেচাবিক্রি ভাল। বিগত দুই বছরের বই বিক্রির রেকর্ড এবার ভেঙ্গে গেছে। শিশুদের বই ও জাফর ইকবালের লেখা বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক সময় দিতে না পারায় মেলার আয়োজন প্রস্তুতি দেরী করে শুরু হয়েছে এজন্য স্টল তৈরীর কাজ দেরীতে হচ্ছে।