যশোর অফিস : যশোরে একটি অস্ত্র মামলায় ছেলেকে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলণ করেছেন এক মা। এ অভিযোগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলণ করেন যশোর সদর উপজেলার মোবারককাঠী গ্রামের মাসুদুর রহমানের স্ত্রী পারভিনা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তার ছেলে সোহানের সাথে এক বছর আগে মোবারককাঠীর শহিদ মোড়লের ছেলে মেহেদী হাসান সাকিবের একটি রেস্টুরেন্টের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ হয়। কয়েকমাস পর বাধ্য হয়ে সাকিবের হাত থেকে রক্ষা পেতে কাজীপুর বলাডাঙ্গায় সোহান নিজে ছোট একটি রেস্টুরেন্ট তৈরীর কাজ শুরু করেন। যা ১৪ ফ্রেবুয়ারী উদ্বোধনের কথা ছিলো। ওই রেস্টুরেন্টের কাজ শুরুর পরপরই সাকিবসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জন সোহানের নির্মানাধীন রেস্টুরেন্টের এলাকায় যেয়ে প্রকাশ্যেই গাঁজা ও ইয়াবা সেবন শুরু করে। শুধু তাই নয়, এক পর্যায় ওই এলাকায় মাদক বিক্রিও দেধারছে চালাতে থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে সোহান। এতে করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সাকিব। আমার ছেলের রেস্টুরেন্টের কাজ শেষের কয়েকদিন আগে সাকিব লোকজন নিয়ে সোহানের কাছে চাঁদাদাবি করে। এসময় চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয় ।
তিনি আরও বলেন গত ৯ ফেব্রুয়ারী রাত ১২ টার পর নিজ বাড়ি থেকে আটক হয় সাকিব। র্যাবের উপস্থিতিতে বাড়ি থেকে একজন পালিয়ে যায়।এ সময় তার কাছথেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান এবং চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব। এরপর র্যাব পলাতক ব্যক্তির বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাকিব পূর্ব শক্রতার জেরে আমার নিরীহ ছেলে সোহানের নাম বলে। র্যাব সাকিবের দেয়া ভাষ্যমতে সাকিবকে এক নাম্বার আসামি ও আমার ছেলে সোহানকে ২ নাম্বার আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা করেন। বাধ্য হয়ে তিনি তার ছেলে সোহানকে যশোরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করান। তিনি আরও বলেন, সাকিব শক্রতা করেই র্যাবের কাছে আমার ছেলের নাম বলেছে যা এলাকাবাসী সবাই জানে। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করলেই তা জেনে যাবেন। কিন্তু এখন আমি কিভাবে চলবো। সোহান নেই কিভাবে বাজার করবো। কি খাবো। পরিবারের সদস্যদের মুখে কি তুলে দেব আমি তা জানিনা। তিনি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমেই তার ছেলেকে ফিরে পাবার আকুতি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেয়ে সুরাইয়া পারভীন, শ্বাশুড়ি নুর নাহার, জা জোসনা পারভিন, প্রতিবেশী মনিরুজ্জামান, এলাহী, মেহেরুন নেসা, রিমা সহ আরও অনেকে।