
যশোর অফিস : যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া আমতলা এলাকার অ্যাড. এমডি আইয়ুব খান বাবুলের ছেলে ফাহিম খান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সন্দেহে আটক হয়েছেন।
ফাহিম ছাড়াও নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র আরও ১৭ জন সদস্য আটক হয়েছেন । মঙ্গলবার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তাদের আটক করে।
অ্যাড. এমডি আইয়ুব খান বাবুল জানিয়েছেন, লেখাপাড়ায় অত্যন্ত মেধাবী ফাহিম। ২০২১ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে এএসসি পরীক্ষা দেয়। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফাহিম যশোর বোর্ডে মেধাতালিকায় নবম স্থান অধিকার করে। ছোট বেলা থেকে সে লেখাপাড়ায় খুব ভাল। খুলনার ফুলতলার এমসিএসকে ভর্তির সুযোগ হলেও অর্থের অভাবে তাকে ভর্তি করতে পারেননি। পরে ঢাকার নটরডম কলেজে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অসুস্থায় ফাহিম বেশি দিন ক্লাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী শিক্ষাবর্ষের ৮০ ভাগ উপস্থিতি না থাকলে তাকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরন করতে দেয়া হয়না। ফলে সে এবছর এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় চরম হতাশায় ভোগে। ঘরে একাএকা বসে থাকতো। নামাজ আদায় করতো। ইসলামী চিন্তাধারা ছিলো তার মধ্যে।
তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে। এরপর হঠাৎ ২৮ জুলাই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তাকে না পেয়ে যশোর কোতয়ালি থানায় জিডি করা হয়। মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এস্কল শিরোনামে দেখতে পান মৌলভীবাজার থেকে তার ছেলেসহ ১৭জন আটক হয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২৮ জুলাই ফাইমের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে জানতে পারেন, সে একটি বাসে করে যাচ্ছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাছে আছে। সেখান থেকে ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওই বাসের সুপারভাইজারের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, বাসটির গন্তব্য পাবনায়। সেখানে গিয়ে খোঁজ করা হয়েছে কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সংবাদ আসে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) মৌলভীবাজার থেকে যে কয়জনকে আটক করেছে তার মধ্যে যশোরের ফাহিম রয়েছে।