বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব বলছে, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ এবং নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন। মঙ্গলবার বিবিএস যে শুমারি প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর ‘ন্যাশনাল রিপোর্ট’র তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন ৫০ লাখ ৫৩ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে গ্রামে বসবাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন। শহরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন। সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে ঢাকার দুই সিটিতে বাস করেন ১ কোটি ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৬ জন।
দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। এ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। জানা যায়, ১০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে গৃহস্থালির কাজ করেন ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ মানুষ; কৃষিতে ৩৭ দশমিক ৯১, সেবায় ৪৩ দশমিক ৬৮ এবং শিল্পে যুক্ত আছেন ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ। বস্তিতে বসবাস করেন ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩০২ জন। বস্তিতে বসবাসকারী এবং ভাসমান জনসংখ্যা রাজধানীর সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কতটা হুমকিস্বরূপ তা বহুল আলোচিত। বস্তিবাসী ও ভাসমান জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমান ও আগামী দিনের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে দেশে তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। তারা যাতে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হয়, তা বিবেচনায় নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।
রাজধানীর যানজট কমাতে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এগুলোর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু রাজধানীর বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য আধুনিক আবাসনসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো প্রতিবছর কয়েক লাখ নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে এ শহরে। এ ধারা চলতে থাকলে ২০৫০ সালের আগেই ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহরে পরিণত হবে। তাই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে।