
জন্মভূমি ডেস্ক : দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জনসমাবেশ করবে বিএনপি।
আগামী ১৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ২৮ জেলা ও মহানগরে, ২০ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ২১ জেলা ও মহানগরে, ২৬ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ১৯ জেলা ও মহানগর এবং ২৭ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ১৫ জেলা ও মহানগরে এই জনসমাবেশ হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি দেন।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মূলত আমাদের দাবি একটাই, তা হচ্ছে এ সরকারের পদত্যাগ। হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না, এটা বিদেশিরাও জানে।’
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় শ্রমজীবীরা অসহায় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চাল, ডাল, ডিমের দাম বেড়ে গেছে। রিক্সচালক-শ্রমিকরা আজ বাজারে অসহায়। বিদেশে ১২৫ জনের বিশাল বহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তিন দেশে সফর করেছেন। অথচ দেশের মানুষ বাজারে গিয়ে কাঁদছে। এখন যদি মানুষ জিজ্ঞেস করে আমাদের জন্য কী নিয়ে এসেছেন? তাদের (সরকারের) কাছে কোনো উত্তর নেই। কারণ কীভাবে আবার ক্ষমতায় থাকা যায় সেটা নিশ্চিত করতে তারা বিদেশে গিয়েছেন।’
পাকিস্তান চলমান রাজনৈতিক ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাকিস্তানে ইমরান খানকে সুপ্রিম কোর্ট মুক্তি দিলেন। আর আমাদের আদালত জামিন বাতিল করতে জেলে পাঠিয়ে দেয়, গায়েবি মামলা দিয়ে জেলা পাঠানো হয়। আজ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আজকে দেশে বিদ্যুৎ নেই, লোডশেডিং।’
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার উদ্দেশ্য চলমান সরকার পতনের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া জন্য। এসব করে কোনো লাভ হবে না।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ববধায়ক সরকারসহ ১০ দফা ও বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ এ সমাবেশে করে বিএনপি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে। সমাবেশ দুপুর দুইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের ছোট ছোট মিছিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে থাকে।