
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনার বটিয়াঘাটায় মহিলা ইউপি সদস্যার সেলাই মেশিন আত্মসাৎ সংক্রান্ত সংবাদ দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় তিনি মেশিনটি ফেরত দিলেন। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
গত ২৩ মে দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার শেষ পাতায় ‘ বটিয়াঘাটায় ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে বীজ ধান আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার হাফিজা বেগম আত্মসাৎকৃত সেলাই মেশিনটি ফেরত দেন।
সংবাদে উল্লেখ করা হয় উপজেলার সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা হাফিজা কৃষকদের জন্য বিতরণকৃত সরকারি বীজ ধান কৃষকের মাঝে না দিযে নিজেই আত্মসাৎ করেন। ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে টাকা গ্রহণ এবং সরকারি সেলাই মেশিন সুফলভোগীদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এমন অভিযোগ মহিলা মেম্বার হাফিজার আপন ভাই মাহবুবুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে জন্মভূমি পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ হয়। এদিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উক্ত মহিলা মেম্বার গরিয়ারডাঙ্গা গ্রামের অনিমেশ রায়ের স্ত্রী মেরী রায়কে পরশু শনিবার মেশিনটি ফেরত দেন। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে মেরী রাযের স্বামী বলেন,সেলাই মেশিনটি আমরা ফেরত পেয়েছি। যা লিখিত ভাবে সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসকে জাকির হোসেন লিটুকে অবগত করেছি। এদিকে অপর ভুক্তভোগী গাওঘরা গ্রামের দিনমজুর রবিউল ইসলাম এর স্ত্রী ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগে জানান, তার অনুকূলে বিতরণকৃত সেলাই মেশিনটি মহিলা মেম্বার প্রায় দুই মাস আগে আমার বাড়িতে গিয়ে ফেরত নিয়ে এসে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি এব্যাপারে বিচার চেয়েছেন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে এলজিএসপি-৩ এর একটি প্রকল্পের আওতায় দুঃস্থ, অসহায়, গরীব এবং বেকার নারীদের আত্মাকর্মসংস্থাপনের লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। ওই পরিষদের মহিলা মেম্বার হওয়ার সুবাদে হাফিজা বেগম দুই জন দুঃস্থ মহিলার নাম দেওয়ার সুযোগ পান। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কিছুদিন পর ওই দুই ব্যক্তির নিকট থেকে সেলাই মেশিন দুটি আত্মসাৎ করেন। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।