ভোটের আগে এবং ভোটের দিন টাকার কছে বিক্রি হয়ে যাওয়া, পেশিশক্তির আধিক্য, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের গুজব, বিএনপি-জামায়াতের ভোটারদের সরকারী দলের প্রার্থীকে গোপন সমর্থন, প্রশাসনের একপেশে সমর্থন, হুমকি ধামকি, সন্ত্রাসী-চরমপন্থীদের এলাকায় ফিরে আসায় ভিতীকর পরিবেশ সৃষ্টি। জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণয়োগ্যতা দিন দিন কমছে
জন্মভূমি ডেস্ক : খুলনার তিনটি সংসদীয় আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ের আশা জাগিয়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত তারা তাদের ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে পারেনি। এছাড়া ভূঁইফোড় রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি এই মূহুত্যে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে বিবেচিত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও জামানত হারিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ভোটের আগে এবং ভোটের দিন টাকার কছে বিক্রি হয়ে যাওয়া, পেশিশক্তির আধিক্য, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের গুজব, বিএনপি-জামায়াতের ভোটারদের সরকারী দলের প্রার্থীকে গোপন সমর্থন, প্রশাসনের একপেশে সমর্থন, হুমকি ধামকি, সন্ত্রাসী-চরমপন্থীদের এলাকায় ফিরে আসায় ভিতীকর পরিবেশ সৃষ্টির কারণেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে জয়ের শতভাগ আশা জাগিয়ে তুলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দ্বিমূখীনীতি, কেন্দ্রের সাথে সমন্বয়হীনতা না থাকা, আসন ভাগাভাগিতে শরীকদের ছাড় না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে অর্থ সহযোগীতা না করার কারণে খুলনার ভোটের মাঠে প্রার্থীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। জনসমৃক্ততা না থাকার কারণে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের ভরাডুবির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ দলটির জনপ্রিয়তা ও গ্রহণয়োগ্যতা দিন দিন কমছে।
খুলনা ৪ (রূপসা, দিঘলিয়া-তেরখাদা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারার জয় সুনিশ্চিত ছিলো। নির্বাচনের দুইদিন আগ পর্যন্ত ভোট জরিপে তিনি প্রায় ৭৫% ভোট জরিপে এগিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জড়িপেও তার জয় নিশ্চিত ছিলো বলে জানাগেছে। নির্বাচনের আগের রাত এবং নির্বাচনের দিন পট পরিবর্তন হয়। এ আসনে দিনমজুর ও সরকারের ভাতাভোগীদের পুরোপুরি ম্যানেজ করতে সামর্থ হন আওয়ামীলীগের প্রার্থী সালাম মূর্শেদী।
জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার পোলিং এজেন্টদেরকে মোটা অংকের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন সালাম মূর্শেদী, ফলে ব্যাপক জাল ভোট পড়লেও তার এজেন্টরা ছিলেন নিশ্চুপ। এছাড়া আগের রাতে গ্রামের ভোটারদের মাথাপিছু ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই রাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন সালাম মূর্শেদী। আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দেওয়া হবেনা এবং পুড়নো মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হবেনা বলে গোপন অঙ্গীকার করায় এসব দলের পলাতক নেতা-কর্মীরা আগের রাতে এলাকায় ফিরে গিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনের পরেও তারা এখন বীরদর্পে এলাকায় অবস্থান করছেন। দারা আরো অভিযোগ করে বলেন, পশ^াবর্তী গোপালগঞ্জ এলাকা থেকে এসে তেরখাদায় বিভিন্ন কেন্দ্রে ভূয়া ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে তিনি সহযোগীতা পাননি। এসব কারণেই তিনি শেষ পর্যন্ত তার পক্ষে ভোট ধরে রাখতে পারেননি।
তবে সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উনি (স্বতন্ত্র প্রার্থী দারা) ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। নির্বাচনে হেরে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন পরাজয়ের কারণ সর্ম্পকে বলেন, নির্বাচনের আগে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা চরমপন্থী, সন্ত্রাসীদের আগমন ঘটানো হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে বাড়ি, বাড়ি গিয়ে হুমকি প্রদান করা হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে- ‘ঈগল প্রার্থী জিতলে তাদেরকে এলাকা খেকে বিতাড়িত করা হবে’, ‘নৌকায় ভোট না দিলে তারা এলাকায় থাকতে পারবে না’। এভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে বিভিন্ন এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করা হয়েছে। নির্বাচনে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রিজাইডিং অফিসাররা আওয়ামীলীগের প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দের পক্ষে কাজ করেছেন। ভোটারদের মাঝে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনা হয়েছে। যার প্রভাব নির্বাচন পরবর্তী ব্যাপক সহিংসতায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
এদিকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের অভিযোগের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিজয়ী সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, পরাজিত হয়ে শেখ আকরাম হোসেন অনেক কিছুই বলছেন। তার অভিযোগ সবই মিথ্যা। কর্মীদের বোঝানোর জন্যই সে এ সব কথা বলছেন।
এদিকে খুলনা-৬ (পাইগগাছা-কয়রা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জি এম মাহবুবুল আলম তুমুল প্রতিদ্বন্দিতায় আসলেও শেষের দিকে ভোটের মাঠ ধরে রাখতে পারেননি। পরাজয় নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও এলাকার বিভিন্ন সূত্র বলছে- এলাকায় তার অবস্থান ভালোই ছিল। কিন্তু শেষ দিকে সাবেক সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু ও তার লোকজন জি এম মাহবুবুল আলমের পক্ষে ভোটে নামায় ভোটররা মূখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দূর্ণীতি ও বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বাবুকে দল মনোনয়ন দেন নি। এঅবস্থায় তার ভোটের মাঠে সমর্থনটা জি এম মাহবুবুল আলমের জন্য সুফল বয়ে আনেনি, বরং ক্ষতি করেছে। এছাড়া করনা মহামারীর সময় এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও নির্বাচনকালীন আর্থিক সংকটে ভূগছিলেন তিনি। ফলে যেভাবে কাজ করার কথা ছিলো সেটা পরিপূর্ণভাবে করতে পারেননি তিনি।
এদিকে জাতীয় পার্টির ভরাডুবির দায় নিতে নারাজ জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা সভাপতি ও খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় দলের প্রার্থীরা ভোট করেনি। এমনকি কোন কেন্দ্রে এজেন্ট দেয়নি। নির্বাচনে সেইভাবে থাকলে দল অনেক ভালো করতো। ক্ষোভ প্রকাশ করে এই নেতা আরো বলেন, খুলনার একটি আসন শরীকদের জন্য ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিলো। বিশেষ করে খুলনা-৬ আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কথা রাখেনি। এ কারণে দলের সকল নেতা-কর্মী ক্ষুদ্ধ।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২। ভোট দিয়েছে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৬ জন। গড় হিেেসবে শতকরা ৪৫ দশমিক ৪৭ ভাগ ভোট পড়েছে। এ ৬টি আসনে ১১টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দি করলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। এমনকি তারা ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত দেয়নি। সবকয়টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা ৬ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৭ ভোট পেয়েছেন। ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে মোট ভোটের ৬৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। অপরদিকে নামসর্বস্ব ৯টি দলের ১৭ জন মিলে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮টি ভোট, যা মোট ভোটের ১ দশমিক ৭ শতাংশ। জাতীয় পার্টির ছয় প্রার্থী মিলে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট। এটাও শতাংশের হিসেবে ১ দশমিক ৬। ফলে গড়ে ১ শতাংশ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন এসব প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের মতো দলগুলো নির্বাচনে না আসা এবং এই মূহুর্তে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পাটির প্রার্থীদের নির্বাচনে নিস্কিয়তার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে বলে ফল বিশ্লেষণে দেখাগেছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১, ২ ও ৩ নম্বর আসনে নৌকার বিরুদ্ধে শ্ক্ত কোন প্রতিদ্বন্দিই ছিলনা। ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডলের ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ ভোটের বিপরীতে নিকটতম স্বতন্ত্র প্রশান্ত কুমার রায় ৫ হাজার ২৬২ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টর কাজী হাসানুর রশিদ ৩ হাজার ৩৯৬, তৃণমূল বিএনপির গোবিন্দ প্রামাণিক ২ হাজার ১৪৮ ভোট পেয়েছেন। খুলনা-২ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েলের ৯৯ হাজার ৮৬৮ ভোটের বিপরীতে নিকটতম জাতীয় পার্টির গাউসুল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪১ টি ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার ৫২৮, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাবু কুমার রায় ৩০৭, বিএনএমের আবদুল্লাহ আল আমিন ৮৯৬, গণতন্ত্রী পার্টির মতিয়ার রহমান ৮৪৫, স্বতন্ত্র সাঈদুর রহমান ১ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়েছেন। খুলনা-৩ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের এস এম কামাল হোসেনের ৯০ হাজার ৯৯৯ ভোটের বিপরীতে নিকটতম জাতীয় পার্টির আবদুল্লাহ আল মামুন ৪ হাজার ৮৭৩টি পেয়েছেন। এছাড়া জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন ১ হাজার ৯৬৩ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩০ ভোট।
খুলনা-৪, ৫ ও ৬ নম্বর আসনে নৌকা প্রতীকের বিপরীতে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরেছেন্ আওয়ামীলীগ ঘড়নার এই তিন প্রার্থী বাদে অন্য প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হযেছে। খুলনা-৪ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সালাম মূর্শেদী ৮৬ হাজার ১৯৪ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৯৩ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির ফরহাদ আহমেদ ৬৭৮, বিএনএমের আজমল হোসেন ৩৪০, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা ১০১, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান ৩২০, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান ২ হাজার ৪২৯, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান ৩৪৪, রওশান জামির ২১৬, এহসানুল হক ৩১০, জুয়েল রানা ৫২৮ এবং রেজভী আলম ১ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়েছেন। খুলনা-৫ আসনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ১ লাখ ১০ হাজার ২১৯ ভোট নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৭৭ ভোট। এছাড়া শাহীদ আলম ১ হাজার ৬, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ৬৮০, ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকবার ১ হাজার ৯৩ ভোট পেয়েছেন। খুলনা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামান ১ লাখ ৩ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জি এম মাহবুবুল আলম ৫১ হাজার ৪৭৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু ৭৭৯ ভোট, বিএনএমের নেওয়াজ মোরশেদ ২ হাজার ১২০, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মির্জা গোলাম আজম ৫৫৬, এনপিপির আবু সুফিয়ান ৮৭৬ ও তৃণমূল বিএনপির নাদির উদ্দিন খান ২৬৩ ভোট পেয়েছেন।
সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, এটা সাজানো-পাতানো কয়েকটি দল ও প্রার্থী নিয়ে লোক দেখানো নির্বাচন। সকল দলের অংশগ্রহণ থাকলে নির্বাচন শতভাগ গ্রহণযোগ্যতা পেত। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য সেটা হয়নি।