
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: জলবায়ুর প্রভাবে নেই ইলিশের সাদ সুগন্ধ আগে বাজারে গেলে ইলিশের সুগন্ধে ভরপুর ছিল মাছের বাজার বাড়িতে এনে রান্না করার সময় খাওয়ার সময়ও ছিল এর একটি ব্যাপক সুগন্ধ। কিন্তু বর্তমানে ইলিশের দাম বাজারে আগুন ছোঁয়া হলেও নেই তার সাধ ও সুগন্ধ ।বিজ্ঞানীরা বলতে চায় এর একমাত্র কারণ জলবায়ুর প্রভাব। জলবায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও ইলিশধরানদীগুলোতে লবণাক্ততার পরিমাণ এত বেড়ে গেছে যার কারণে ইলিশ মাছের সাদ গন্ধের কোন বালাই নেই। বাজার থেকে আগুন ছোঁয়া দাম দিয়ে শুধু ইলিশ মাছ কিনে আনা স্যারের স্যার কাজে কিছুই না। শুধুমাত্র পকেটের টাকার ছড়াছড়ি ।১৯৩২ সালের কথা। সিরাজগঞ্জে নিখিলবঙ্গ মুসলিম যুব সম্মেলনে এসেছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। খেতে বসে দেখতে না দেখতে বড় দুই টুকরো ইলিশভাজা সাবাড় করে ফেললেন তিনি। ঘটনাটি লক্ষ করে পরিবেশক এগিয়ে এসে তার থালায় আরও ভাজা ইলিশ দেওয়ার চেষ্টা চালালেন।
বাধা দিয়ে কবি তাকে বললেন, ‘আরে, করছ কী? শেষকালে আমাকে বিড়ালে কামড়াবে যে!’ কিন্তু বিড়ালে কেন কামড়াবে? উৎসুক সবার এ প্রশ্নের উত্তরে কবি নজরুল জানালেন, ‘ও, বুঝতে পারছেন না! ইলশে মাছ-যে মাছের গন্ধ মুখে লালা ঝরায়, বিড়ালকে মাতাল করে তোলে। বেশি খেলে কি আর রক্ষে আছে!’
মাছ খেতে পছন্দ করেন না, অথচ ইলিশ পেলে না করেন না- এমনই সুস্বাদু মাছ ইলিশ। পদ্মার ইলিশের সুনাম তো বিশ্বজোড়া। তাই বলে মেঘনা-যমুনার ইলিশও কম সুস্বাদু নয়। যদিও ইদানীং অনেককেই বলতে শোনা যায়, ইলিশের সেই স্বাদ আর নেই। বিড়ালকে এর ঘ্রাণ আর পারে না মাতাল করে তুলতে। সত্যি কথা বলতে গেলে, এ অভিযোগ অস্বীকার করারও উপায় নেই। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশের জীবনচক্রে সম্প্রতি পরিবর্তন এসেছে।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, ইলিশের প্রধান উৎস এখন সাগর। মিঠাপানির নদী নয়- লোনাপানির সাগরেই এখন বেশিরভাগ ইলিশ ধরা পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলিশকে সুস্বাদু করে তোলার ক্ষেত্রে নদীর বিশেষত পদ্মার মিঠাপানির রাসায়নিক গুণাগুণের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এদিকে নদীতে পানিদূষণের কারণে ইলিশ ডিম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৮০ শতাংশ। ফলে সেখানে এ মাছের উৎপাদনও কম মিলছে।
ইলিশের স্বাদ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী গবেষণাকেন্দ্র চাঁদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ সম্পদ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ইলিশের স্বাদ মূলত নির্ভর করে ফ্যাটি অ্যাসিডের ওপর। এ ছাড়াও ইলিশের তেলে ওগেমা-৩ ও ৬ সবচেয়ে বেশি মেলে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সহযোগিতা করে। ইলিশের স্বাদ-ঘ্রাণও বাড়িয়ে তোলে।’ তিনি বলেন, ‘মাছ কোন পরিবেশে বড় হচ্ছে, কোন ধরনের খাবার খাচ্ছে, এসবও স্বাদের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকের অভিযোগ, ইলিশের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এটি ঠিক না। কেননা ইলিশ প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়। নদীতে যখন টাটকা ইলিশ ধরা পড়ে, তখন সেগুলোতে স্বাদ ও ঘ্রাণ পুরোপুরিই অটুট আছে। তবে স্বাদ-ঘ্রাণের পার্থক্যের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় একটি বিষয় হলো, এখন বেশিরভাগ ইলিশই ধরা পড়ে বঙ্গোসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে। তবে যেখানেই ধরা পড়ুক না কেন, অনেকগুলো হাত বদলে তা ভোক্তার হাতে পৌঁছে। এতে ১০-১৫ দিন সময় লেগে যায়। ইলিশে যে বরফ দেওয়া হয় তার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তা ছাড়া আড়তগুলোতে মাছ যেভাবে ওঠানামা করা হয়, তাতে এর মাসল নষ্ট হয়ে স্বাদে হেরফের ঘটে।’
আশরাফুল আলম বলেন, গবেষকরা দেখেছেন, পদ্মা নদীর পানির রাসায়নিক গুণাগুণ অন্যান্য নদীর চেয়ে ভালো। দূষণের মাত্রাও কম। পদ্মায় ডায়াট্রম নামের বিশেষ প্লাঙ্কটন পাওয়া যায়। অনেকের মতে, মিঠা পানির এই উপাদান ইলিশের স্বাদ বেশি হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কিংবা অন্যান্য নদী ও সাগরের ইলিশের কোনটার স্বাদ কেমন তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট গবেষণা কাজ হয়নি। তিনি জানান, এটি হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আবুল মনসুর জানান, ১০, ২০, ৩০ বছরের তথ্যে দেখা যায়, নদীতে প্রতিনিয়ত ইলিশের প্রাপ্যতা কমছে। মাইগ্রেশন রোডে সাগর থেকে নদীর মোহনায় আসতে পারছে না। সাগরে যেহেতু ডিম পাড়তে পারে না তাই বাধ্য হয়ে নদীর মোহনায় আসছে। স্যুয়ারেজ লাইন, শহরের ময়লা-আবর্জনা, কাপড়ের রঙ, শিল্পকারখানার বর্জ্যের কারণে পানির স্বাভাবিক গুণাগুণ নষ্ট অক্সিজেন, কার্বিডিটি, পিএইচ, এলফানোমিটি যথাযথ নেই। ইলিশ অনেক কষ্ট করে সাগর থেকে নদীতে এসে ডিম দেয়। বিশুদ্ধ পানিতে যেভাবে ডিম প্রস্ফুটিত হয় দূষিত পানির কারণে তার ৮০ শতাংশই তাৎক্ষণিক নষ্ট হয়ে যায়। একটি ইলিশ ৬০-৭০ লাখ ডিম পাড়ে। সেখানে ২০ শতাংশ বাচ্চা হয় এবং তার মধ্যেও ৮০ শতাংশ পোনা/জাটকা মারা যায়।
তিনি জানান, এ বিষয়ে যথেষ্ট গবেষণা প্রয়োজন। ইচ্ছা করলেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো যায়। সেজন্য ডিম পাড়ার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নদীর মোহনায় পানির গুণাগুণ বিশুদ্ধ রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. আবুল মনসুর বলেন, আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীতে ইলিশ ডিম পাড়তে যেত কিন্তু দূষণবৃদ্ধি পাওয়ায় তা আর যায় না। এখন প্রয়োজনের খাতিরে পদ্মা ও মেঘনার মোহনাকে বেছে নিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের নদীদূষণের তুলনায় আমাদের নদী মোহনায় কম দূষণ থাকায় ইলিশ ডিম দিচ্ছে। এই পরিবেশ আরও ভালো করা দরকার।
নদী গবেষণা কেন্দ্র চাঁদপুরের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিনান্স ডিরেক্টর ড. আনিসুর রহমান। ইলিশ নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে। এই ইলিশ গবেষক বলেন, ‘ইলিশের জন্য তাপমাত্রা একটি বড় ফ্যাক্টর। তাপমাত্রা বাড়ায় বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এতে খারাপ-ভালো, ফিজিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যালÑ দুই ধরনের প্রভাবই পড়ছে। তাপমাত্রার কারণে পানির অনেক গুণাগুণ পরিবর্তন ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাছ যেসব খাবার খাচ্ছে, তাতেও পরিবর্তন ঘটছে। শুধু ইলিশ নয়, অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।’
আনিসুর রহমান বলেন, ‘শিল্পকারখানাগুলো ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) চালু রাখছে না। এতে ইলিশের প্রধান অভয়াশ্রম ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত দূষণ ও শিলটেশন (পলি) পড়ছে। নদীতে চর জাগছে। সাগর থেকে নদীতে ইলিশের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। সাগর থেকে ইলিশের ঝাঁক প্রজনন ও খাদ্যগ্রহণের জন্য মেঘনা, পদ্মা হয়ে যে পথে আসে, সেই পথে প্রচুর বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে প্লাঙ্কটেশনের সঙ্গে বালিও যাচ্ছে ইলিশের পেটে। আবার নদীতে ঘন ঘন আকারে খাঁচা দিয়ে মাছচাষের কারণেও এর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। কাঙ্ক্ষিত খাবার (প্লাঙ্কটন) পাচ্ছে না ইলিশ। পানির গুণাগুণ নষ্ট হওয়ায় ও কাঙ্ক্ষিত খাবার না পাওয়ায় এর শরীর-স্বাস্থ্যেও পাথর্ক্য দেখা দিয়েছে। ফ্যাট জমছে না। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যথেষ্ট পরিমাণে থাকলে এর স্বাদ বাড়ে। সেটি যথেষ্ট মিলছে না। এতে স্বাদ কমে যাচ্ছে। ড্রেজিং হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। এতেও ইলিশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে।’
আনিসুর রহমান বলেন, ‘ইলিশ লোনা পানিতে যেমন থাকতে পারে, তেমনি মিঠা পানিতেও থাকে। সাগরের পরিবেশ, মিঠাপানি ও মোহনার পরিবেশ আলাদা। এ মাছ চলাচলের রুট থেকে একবার মুখ ফিরিয়ে নিলে তাকে ধরে রাখা অসম্ভব।’
ইলিশ নিয়ে একটি গবেষণা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে এই গবেষক বলেন, ‘আমাদের এ গবেষণায় ইলিশের পেটে ৪১.৬৫ অ্যালজি, বালুকণা ৩৬.২৮, ডায়াটম ১৫.৩৬, রটিফার ৩.১৯, ক্রাস্টাসিয়া ১.৮৯, প্রোটোজোয়া ১.২২ এবং ০.৪১ শতাংশ অন্যান্য মিশ্র দ্রব্যাদি পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণত ইলিশ ময়লা-আবর্জনা খায় না। কিন্তু ইলিশ যখন আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সাগর থেকে নদীতে আসতে থাকে, তখন কাদা-বালুসহ অনেক কিছু এর পেটে চলে যায়। ইলিশের প্রতি দরদি না হলে, এসব দূষণজনিত পরিস্থিতি দূর করতে না পারলে আল্লাহ না করুক তারা অন্য জলসীমায় চলে যেতে পারে।’
আন্তর্জাতিক পানি ও পরিবেশবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত জানান, ‘পদ্মা সেতু তৈরির সময় আমরা নির্দেশনা দিয়েছিলাম, পদ্মায় ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে সেতু নির্মাণকালে ও নির্মাণের পরে তাদের চলাচল ও জীবনাচারে যাতে কোনো ব্যত্যয় না ঘটে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই অনুযায়ী কিন্তু পরবর্তী সময়ে কাজ হয়েছে। বর্ষাকালে ৩০ ফুটের বেশি গভীরতায় নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলেও নির্দেশনা ছিল। আগামীতেও ইলিশের প্রজননকেন্দ্রে কোনো স্থাপনা করলে এমন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী জানান, ‘পরিবেশদূষণ ও নদী-সাগরদূষণের কারণে ইলিশের খাদ্য ও জীবনচক্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত। কিন্তু তা এখন সাগরে চলে গেছে। সাধারণত সাগরেই ইলিশের বাস। তবে ডিম দিতে এরা নদীতে চলে আসে। বাচ্চা বড় হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘসময় মিঠাপানিতে থাকে।’
তিনি জানান, ‘এই আসা-যাওয়ার পথ ভালো না হলে প্রজনন ও বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। ইলিশের প্রজনন স্থানের খাদ্যচক্র তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে অক্সিজেন প্রয়োজন, তাও দূষণের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভারী ধাতু, দূষিত পদার্থ পরিবেশ খারাপ করছে। এসব বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন।’
জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেন, ইলিশের জন্মক্ষেত্র মূলত উপকূলীয় এলাকা। তারপর ধীরে ধীরে তা স্বাদু পানির দিকে আসতে থাকে। বিশেষ করে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক এসব জায়গা ইলিশের বাচ্চা বিকাশের সবচেয়ে ভালো স্থান। এখানে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে প্লাঙ্কটন থাকে। যা জাটকার প্রধান খাবার। নদীদূষণের কারণে এসব খাবার উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইলিশ মাছ মূলত প্লাঙ্কটনভোজী। পানির উপরিভাগে প্রাপ্ত ভাসমান খাদ্যকণা তাদের প্রধান খাবার। এর খাদ্যতালিকায় আরও রয়েছে চিংড়ি, কাঁকড়া, ছোট শামুক, নীল-সবুজ শৈবাল, ডায়াটম, ডেসমিড, কোপিপোড, রটিফার ও জৈব বর্জ্য ইত্যাদি। এদের খাদ্যাভ্যাস বয়স ও ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, ‘জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে ইলিশের স্বভাব-প্রকৃতিতে পরিবর্তন আসছে। যথাস্থানে ডিম পাড়তে না পারায় জীবনচক্রেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। নদী থেকে সাগরে বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে।’
মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. সাইনার আলম জানান, ‘বঙ্গোপসাগরের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাসহ দেশের সমুদ্র, মোহনা, উপকূলীয় নদীকে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের ৭টি বিভাগ তথা বরিশালের ৬ জেলার ৪১ উপজেলা, ঢাকার ১২ জেলার ৪৮ উপজেলা, চট্টগ্রামের ৭ জেলার ৩৪ উপজেলা, খুলনার ৪ জেলার ১৯ উপজেলা, রাজশাহীর ৬ জেলার ১৭ উপজেলা, রংপুরের ২ জেলার ১১ উপজেলা ও ময়মনসিংহের ৪ উপজেলাসহ মোট ৩৮ জেলার ১৭৪টি উপজেলাকে প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’