শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : বঙ্গোপসাগরের জলোচ্ছাসে দুবলারচরে মারা গেছে হরিণ। শেলারচরে ভেসে যাওয়ার সময় একটি হরিণ উদ্ধার করে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাগরে সৃষ্ঠ লঘুচাপের প্রভাবে অমাবশ্যার জোয়ারে বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবন ৬ফুট জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ লঘুচাপের প্রভাবে অমাবশ্যার জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃহস্পতিবার ৫/৬ ফুট জলোচ্ছাসে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন টহল ফাঁড়ির অফিস ব্যারাক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে শেলারচর থেকে একটি হরিণ ভেসে যাওয়ার সময় বন রক্ষীরা তা দেখতে পেয়ে হরিণটিকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকৃত হরিণকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যটন স্পট কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার আঃ সবুর বলেন, জোয়ারের জলোচ্ছাসে কটকার বন ৪/৫ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় অনেক হরিণ কটকা ফরেষ্ট অফিসের পুকুর পাড়সহ উচু জায়গায় এসে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। এখানে কোন হরিণ মারা যায়নি বলে তিনি জানান। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মোঃ রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাগরের জোয়ারে সুন্দরবন ৫/৬ ফুট জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুবলারচরে একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে জলোচ্ছাসের পানিতে ডুবে হরিণটি মারা গেছে। আরো মৃত হরিণ পাওয়া যায় কিনা তা খুঁজে দেখার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত