
জন্মভূমি ডেস্ক : ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশকে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে রাজধানীজুড়ে থাকবে নিñিদ্র নিরাপত্তা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুরো ঢাকা শহরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডও মনিটরিং করছে তারা। এছাড়া যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তত রাখা হয়েছে স্পেশাল ফোর্স। অন্যদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেলিকপ্টারও প্রস্তুত থাকবে সার্বক্ষণিক। যেকোনো পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টার উড়বে দেশের যে কোনো স্থানে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে দিনকে দিন চাপ বাড়ছে। সেই দিক বিবেচনা করেই এবার জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত ফাঁক রাখা হচ্ছে না।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নানা কারণে এবার জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
সূত্রটি বলছে, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশি টহল জোরদার এবং বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সরব উপস্থিতি ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে। এ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আয়োজকদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গি নিয়ে কাজ করা পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, নতুন জঙ্গি সংগঠনের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা গেলেও এখনো অনেকেই পলাতক রয়েছেন। এরমধ্যে গত বছরের নভেম্বরে ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। আট মাস পেরিয়ে গেলেও পলাতক দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজন্য এবারের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।