জন্মভূমি ডেস্ক : ভূমিকম্পপ্রবণ জাপানে মাত্র ৯০ মিনিটে অন্তত ২১টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর সবগুলোই ৪ মাত্রার বেশি। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৬। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে আরও বড় ভূমিকম্প এই এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা একটি জাতীয়ভাবে সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছে যে আগামী সপ্তাহে বিশেষ করে আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্রতার আরও বড় ভূমিকম্প এই এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দাবানল ও ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়েছে। খবর আল জাজিরার
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করছে এবং বাসিন্দাদের আরও কম্পনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি সাংবাদিকদের বলেন, ওই এলাকার পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো কোনো দুর্ঘটনার অভিযোগ করেনি। তবে তিনি বলেন যে, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য আসন্ন সুনামি থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এখন প্রতি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে দ্রুত নিরাপদ এলাকায় সরে যেতে হবে।
প্রায় ৩ মিটার (প্রায় ১০ ফুট) সুনামি জাপানের পশ্চিম উপকূলে নিগাতা এবং অন্যান্য এলাকায় আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে, ছোট সুনামির ঢেউ ইতিমধ্যেই উপকূলে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশেপাশে বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাপান রেলওয়ে জানিয়েছে, টোকিও এবং ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের নোটোর কেন্দ্রস্থলের মধ্যে বুলেট ট্রেন পরিষেবাও স্থগিত রয়েছে।
মধ্য জাপানে একাধিক বড় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশেপাশে প্রায় ৩৩,৫০০ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন ছিল। ইউটিলিটি কোম্পানিগুলো বলছে, জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর পাশে জাপান সাগরের তৈয়ামা, ইশিকাওয়া এবং নিগাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানে। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই দেশটিতে বেশি ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে দুই হাজারের মতো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। ভূমিকম্পগুলোর অধিকাংশই ক্ষীণ হয়ে থাকে। তবে দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পকের অনেক রেকর্ড রয়েছে।