জন্মভূমি রিপোর্ট
জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি শেখ আবুল কাশেম ও তার গাড়ীর ড্রাইভার মিকাইল হত্যা মামলায় তৎকালীন মহানগর হাকিম মো: ছবির আহম্মেদ গতকাল সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করেছেন। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, খুলনার বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো আগামী ১৫ মার্চ ফৌজাদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারা মোতাবেক আসামিদের পরীক্ষা করার জন্য দিন ধার্য করেছেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে খুলনা থানার নিকটতম দূরত্বের একটি ব্যাংকের সামনে একদল ঘাতক ওই জোড়া হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল। উচ্চ আদালতের আদেশে প্রায় এক যুগ মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। তিন দফায় স্থগিতাদেশের আগ পর্যন্ত ১৮ জনসহ মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামি গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। একজন জামিনে আছেন। দু’ অভিযুক্ত মৃত্যুবরণ করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল-এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আরিফ মাহমুদ লিটন দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে সাক্ষী ছবির আহম্মেদকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সাবেক ওই ম্যজিস্ট্রেট পলাতক আসামি মো: তারেকের জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন। ছয় পৃষ্ঠার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিটিতে ম্যাজিস্ট্রেটের ১৮ টি স্বাক্ষর ও অভিযুক্তের ১৪ টি সাক্ষর রয়েছে। প্রায় আধ ঘন্টাব্যাপী সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে উপস্থিত আসামি পক্ষের আইনজীবীগণ এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী তাকে জেরা করেন। তার বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক সম্পূর্ণ বিধি সম্মতভাবে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় নি। সাক্ষী তখন দাবি করেন-স্বেচ্ছায় আসামির দেয়া জবানবন্দিটি সকল নিয়ম মেনে রেকর্ড করা হয়েছিল। সেখানে দেয়া নিজের স্বাক্ষরগুলো তিনি শনাক্ত করেন। সূত্রমতে, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। অভিযুক্ত সাবেক এমপি ও নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস হাজিরা দিয়েছেন। আসামি জাপা মনোনিত মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান মুশফিক, তরিকুল হুদা টপি, মিল্টন ওরফে আনিছুর রহমান, মফিজুর রহমান মফিজ, ওয়াছিকুর রহমান ওয়াছিক এবং মো: তারেক পলাতক রয়েছে। অন্য দু’ আসামি সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মনি এবং ইখতিয়ার উদ্দীন বাবলু মৃত্যুবরণ করেছেন।