জন্মভূমি ডেস্ক : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে তা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নয়।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক দল। আমরা অনেক লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমরা আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে। আমরা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংগ্রাম করেছি। অথচ আজ আওয়ামী লীগের সুর ভিন্ন। আওয়ামী লীগ নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি? তাদের সঙ্গে থাকলে স্বাধীনতার পক্ষের, বিপক্ষে গেলে যুদ্ধাপরাধী। এটা মোনাফেকি।
তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। নিরপেক্ষভাবে দলমত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় করাই জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা অনেক নির্বাচনেই অংশ নিয়েছি। আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে। আমরা গণতান্ত্রিক। কিন্তু আমরা কোনো ভোট, ব্যালট ডাকাতির ভোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। আমরা নির্বাচন করব। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নয়। দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন বৈধ হয় না সেটা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রমাণ হয়েছে।
ইসির উদ্দেশে তাহের বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশ ভোট না হলে সেটা নির্বাচন বলা যাবে না। আপনি নাকি ভালো মানুষ শুনেছি। আপনি প্রয়োজনে পদত্যাগ করুন। কিন্তু নুরুল হুদা হবেন না।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির শামসুল ইসলাম বলেন, ভোটবিহীন সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। আজকে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণের অধিকার আদায় করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ক্ষমতা না দেওয়া পর্যন্ত, ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।
তিনি বলেন, সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ আবারও চেপে বসেছে। সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। মানুষ খেতে পারছে না। ভোটের ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।