জন্মভূমি ডেস্ক : ভরতের দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টির ১৮তম সম্মেলনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, জি-টোয়েন্টির ১৮তম সম্মেলনে অংশ নিয়ে জোটটির লক্ষ্য পূরণে পরামর্শ দেবে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সক্ষমতার বিষয়গুলো তুলো ধরবে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বই বাংলাদেশকে জি-টোয়োন্টিতে স্থান দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বকে বলার মতো বাংলাদেশের অনেক সফলতার গল্প আছে। সম্মেলন সেই সুযোগও তৈরি করে।
ভারত এবারের সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্য করার প্রস্তাব জানাবে বলেও জানান প্রণয় ভার্মা।
আগামী ৯-১০ই সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বসছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ভারত। বর্তমানে এ গ্রুপের প্রেসিডেন্সিতে আছে ভারত। বার্ষিকভিত্তিতে প্রেসিডেন্সি আবর্তিত হয় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে। এই গ্রুপে আছে বিশ্বের সম্পদশালী ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এবারের জি-২০ সামিটে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সম্মেলনে অন্য নেতাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তবে শক্তিশালী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আলোচিত এই সামিটে অংশ নিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিষয়টি ফোন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন তিনি।