কেএমপির ওসি হাফিজুর রহমান , চরমপন্থী নেতা নাসিম ও কেসিসি কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানী টিপু হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের মহানগরের সাবেক সহ সভাপতি শেখ জাফরিন হাসান। রবিবার খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ আভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় একটি ষড়যন্ত্রমুলক মামলা হয় যার প্রেক্ষিতে ২১ জুন গ্রেফতার করা হয় আমাকে। এই মামলাটির কারণে আমি সামাজিকভাবে তিরস্কৃত হচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যে মহিলা মামলা তার নাম সাদিয়া সুলতানা ইতি। তিনি মাদক কারবারি চক্রের সাথে জড়িত।
এরপর আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বলে আমি কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু ইতি আমার লোক তার বিরুদ্ধে বিচার করতে গেলে মারা পড়ে যাবি। এরপর আমার মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে বলে, আমি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় প্রধান নেতা নাসিম ইতি আমার লোক ওর বিষয়ে শালিস করতে যাস না, তাহলে বিপদে পড়ে যাবি। এরপর আমার মুঠোফোনে আরেকজন ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে আমি মাহফুজ বাগেরহাট বাড়ি। তোদের বাপ খানজাহান আলী থানার ওসি আমার লোক, ওনিকে দিয়ে কিছু মামলা দিয়ে দিবানী। যদি ইতির বিষয়ে শালিস করতে যাস।
এর প্রেক্ষিতে ১৫ জুন খানজাহান আলী থানায় এই বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করতে যাই। ওসি হাফিজুর রহমান আমার জিডি নেয়নি। আমি ওসিকে বলি জিডি না নিলে যদি আমি মারা যাই তাহলে আপনি ওদের সাথে দায়ী থাকবেন। এরপর আমি পুলিশ কমিশনারকে মুঠোফোনে অভিযোগ করেও কোন ফল পায়নি।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বলেন, দেশবাসি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রসাশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাচ্ছি আমি জিবনে নিরাপত্তাহীনতায় আরো নতুন করে মিথ্যা মামলা হওয়ার আশংকা করছি। আমাকে হত্যা করা হলে কাউন্সিলার গোলাম রব্বানী টিপু, খানজাহান আলী থানার ওসি হাফিজুর রহমান, চরম পন্থীনেতা নাছিম, সাদিয়া সুলতানা ইতিসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন আসামী হিসাবে গণ্য হবে। ওসি যেহেতু এই চরম পন্থীদের পক্ষে কাজ করছে সেহেতু ওসির ইন্দনে আমাকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে এবং যেকোন বিপদে ফেলতে পারে।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন
Leave a comment