
জন্মভূমি ডেস্ক : জীবাশ্ম জ্বালানি তথা কার্বন নির্গমনকারী জ্বালানি তেল বন্ধের ব্যাপারে প্রচন্ড চাপের মুখে পড়েছেন বিশ্ব নেতারা। বিশেষ করে, ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট আরব আমিরাতের তেল কোম্পানির প্রধান সুলতান আল জাবের বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে কার্বন দূষণ বাড়ছে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।’ তার এই বক্তব্যের পরই জলবায়ুকর্মীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন দূষণের নতুন নতুন রিপোর্ট নীতি নির্ধারকদের বক্তব্যকে বিতর্কিত করে তুলছে।
এরই মধ্যে দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে বুধবার ষষ্ঠ দিন আলোচনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে রেকর্ড কার্বন নির্গমনের নতুন রিপোর্ট দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ফসিল ফুয়ের থেকে ২০২৩ সালে কার্বন নির্গমন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কার্বন নির্গমন পরিস্থিতি উন্নতির পরিবর্তে গত দুই বছরে আরো অবনতি হয়েছে। এই নির্গমনের পরিমাণ এ বছর ৪০.৯ গিগাটনে গিয়ে পৌঁছাবে।
বিশ্বের ১২০ জন বিজ্ঞানীর এই নতুন প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, বায়ুমণ্ডলে কার্বন দূষণের ফলে পৃথিবী পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যদি পৃথিবীর গড় উষ্ণতা এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উত্তপ্ত হয় তবে ২০৩০ সালে আরো তিনটি দৃশ্যমান হবে।
নতুন রিপোর্ট প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটারের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউট এর টিম লেন্টন বলেছেন, পৃথিবী সিস্টেমের টিপিং পয়েন্টগুলো এমন একটি বিশালতার হুমকি সৃষ্টি করেছে। যার মুখোমুখি বিশ্ব মানবতা অতীতে হয়নি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ক্লাব অব রোমের ৭৫ জন বিজ্ঞানী কপ নেতৃবৃন্ধের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠি দিয়েছেন। তারাও কপ প্রেসিডেণ্টের বক্তব্যের বিরোধীতা করে এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।