সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে একটি সক্রিয় আবহাওয়াগত সিস্টেম। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, এটি জুনের মাঝামাঝি সময়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সম্ভাব্য নাম ‘শক্তি’।
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সম্ভাব্য নিম্নচাপের আভাস পাওয়া গেছে, যা ১২ জুনের মধ্যে একটি ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে ১৫ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে এটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুন নাগাদ এর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৫৮ থেকে ৬০ কিলোমিটার হতে পারে এবং ১৭ জুন নাগাদ তা বেড়ে ৬৪ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, তা ৯ থেকে ১০ জুনের মধ্যে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
এই সিস্টেমের কারণে ১৫ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণাঞ্চলীয় বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
৩ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল পরিষ্কার থাকলেও খুলনা, বরিশাল, পাথরঘাটা, গৌরনদী এলাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। আসামের কিছু অংশে চলছে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি।
৩–৫ জুন: ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও ত্রিপুরা অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
৫–৭ জুন: বৃষ্টিপাতের প্রবণতা সামান্য কমে আসবে।
১১–১৩ জুন: দক্ষিণবঙ্গ ও দক্ষিণ বাংলাদেশের কিছু অংশে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
১৫–১৭ জুন: সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া দেখা দিতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা রয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।উত্তরবঙ্গে ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি, দার্জিলিংয়ে প্রায় ২৩ ডিগ্রি।ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১২ জুনের পর থেকে স্যাটেলাইট নজরদারি আরও জোরদার করা হবে। যদি এটি সত্যিকারের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে ভারতের উপকূল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে জোরালো প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জুনের মাঝামাঝি ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’

Leave a comment