জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-অগাস্টে নির্বাচন দাবি করলেও প্রশ্ন উঠছে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে দল হিসেবে বিএনপি সেই নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত। কীভাবেই বা নির্বাচনের প্রস্তুতিুুুুুুুুুুু নিচ্ছে তারা?
দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনের একটা প্রস্তুতি তাদের নেয়াই আছে এবং এ প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন তারা নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় ইতোমধ্যেই সক্রিয় হয়েছেন ও ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন। খবর বিবিসি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল থেকে উঠে আসা নেতারা সামনের নির্বাচনে প্রাধান্য পাবেন। “দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন, মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের সেভাবেই গাইড করা হয়েছে। এটা নির্বাচনি প্রস্তুতিরই অংশ,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
স্থায়ী কমিটির আরেকজন সদস্য সেলিমা রহমান বলছেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে মোটামুটি একটা ছক আমাদের আঁকাই আছে। এদিকে, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলছেন- ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে বিগত সরকারের স্বরূপ উন্মোচন করেছিলেন। তারা নিজের এলাকায় দলকে সংগঠিত রেখেছেন।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন বলেছেন, নির্বাচন কখন হবে সেটি পরিষ্কার না হলেও গত অগাস্টের পর থেকেই সারাদেশে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে কারণ সবাই সামাজিক মাধ্যমেও তাদের এসব তৎপরতা তুলে ধরছেন।
প্রসঙ্গত, যে কারণে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে তা হলো বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি মন্তব্য। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এর আগে ২০১৮ সালে দলটি অংশ নিয়েছিলো ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হয়ে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলো দলটি।
জুলাই-অগাস্টে নির্বাচন চাইলেও বিএনপি কতটা প্রস্তুত
Leave a comment