ডেস্ক রিপোর্ট : শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন।
প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য এবং সংলাপে অংশ নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। তবে উপস্থিত নেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অনুষ্ঠান ঘিরে দিনভর নানা নাটকীয়তা ও বিতর্ক থাকলেও, নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় এই ঐতিহাসিক ক্ষণ।
সনদ স্বাক্ষর প্রক্রিয়ার উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের জনগণের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে, এই সনদ সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার প্রাথমিক দলিল।
এর আগে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা দেরি হয়। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয় ৷
এর আগে, সকালে সনদের কিছু বিষয় ও নিজেদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ তুলে জুলাই যোদ্ধাদের একাংশ সংসদ ভবনের মূল মঞ্চের সামনে অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। যদিও পরে ঐকমত্য কমিশন জরুরি ভিত্তিতে সনদের ৫নং দফায় সংশোধন এনে শহীদ ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের আইনি দায়মুক্তি ও রাষ্ট্রীয় বীরের মর্যাদা প্রদানের অঙ্গীকার নিশ্চিত করে।
দীর্ঘ আট মাস ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই সনদ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজকের স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলো আইনি কাঠামোর দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত আছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত