জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনা জেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে যুবদল ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ। আহত হয়েছেন দুই জন। চেয়ারে বসানিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানান বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সংঘর্ষে যুবদল নেতা রুবায়েত ও ছাত্রদল নেতা ইস্তির নাম আসলেও তারা কেউ ইফতারে অংশগ্রহন করেননি দাবি তাদের। মঙ্গলবার নগরীর খুলনা ক্লাবে জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, নগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এম মনিরুল হাসানব বাপ্পি। এ সময় চেয়ারে বসা ও আধিপত্য নিয়ে জেলা যুবদলের রুবায়েত গ্রুপ ও নগর ছাত্রদলের ইস্তি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষ একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে। এবং ধাঁরালো অস্ত্রের আঘাতে দুই জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে তাদের নাম রাজু ও জনি জানা গেছে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা শুনে আমাদের মোবাইল টিম সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে কোন পক্ষ এখনও পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করেনি। আর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পি বলেন, ইফতারের সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আহতদের দেখতে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। কাদের মধ্যে সংঘর্ষ প্রশ্নে তিনি বলেন নগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তির গ্রুপ হামলা করেছে যুবদলের কর্মীদের উপর। নগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি বলেন, আমি জেলা বিএনপির ইফতারে অংশগ্রহন করতে পারিনি। আমি নতুন রাস্তার মোড়ে দৌলতপুর ও খালিশপুর ছাত্রদলেল ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে ছিলাম। অতএব, এ সংঘর্ষের বিষয়ে আমার নাম কিভাবে আসল আমি বুঝলাম না। আর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েত বলেন, আমার সহধর্মিনীর পা ভেঙ্গে যাওযায় আমি তাকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছি। অতএব সংঘর্ষের বিষয়ে বলতে পারবো না।