
ডেস্ক রিপোর্ট : চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় জড়িত যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনাল থেকে জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ। একই সময় লঞ্চটির চারজন কেবিন বয়কে আটক করা হয়।
ঝালকাঠি থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে নিজাম শিপিং লাইন্সের ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছলে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও ঝালকাঠি থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে লঞ্চটি জব্দ ও চার কেবিন বয়কে আটক করে।
জানা যায়, এর আগে গতকাল দিবাগত রাতে চাঁদপুরের হরিনা এলাকায় মেঘনা নদীতে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ এর সঙ্গে ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’-এর সংঘর্ষ হয়। ওই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত ও কয়েকজন আহত হন বলে নৌ-পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন,‘লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর এর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যায়। তবে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
আটকৃত চারজন লঞ্চ স্টাফ হলেন, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়য়ারচর এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মাঝির ছেলে মো. মিন্টু (২৮), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাহের গজালিয়া এলাকার খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে মো. সোহেল (৪০), ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভরতকাঠি এলাকার ছামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মহিন হাওলাদার (২৫) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রুপসী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৪০)।
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার নাজমুল হক বলেন,‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমি ঝালকাঠিতে এসে লঞ্চটি আটক করার নির্দেশ দেই। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

