
যশোর অফিস : ঝিকরগাছায় ডাকাতিকালে নৈশপ্রহরী আব্দুস সামাদ হত্যা ও ডাকাতি মামলায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন ডিবির পরিদর্শক রুপম কুমার সরকার।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার উত্তমপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে শাওন ইসলাম সোহাগ, সিরাজ খাঁর ছেলে রিয়াজ খাঁ, বিহারীপুর গ্রামের কা ন তালুকদারের ছেলে শামীম তালুকদার, ইব্রাহিম খানের ছেলে শহিদুল খান, নন্দপাড়া গ্রামের কবির মোল্যা ছেলে মাসুম মোল্যা, বীরাদ্দন গ্রামের ফজলু হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার, বানারীপাড়ার বড় চাউলকাঠি গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে এমাদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জের উত্তমপুর গ্রামের ইউনুছের ছেলে শহীদ গাজী, পটুয়াখালী সদরের শেখহাটি গ্রামের লোকমান মৃধার ছেলে মাহাতাব মৃধা ও গলাচিপার বাশবুনিয়া গ্রামের আলম মোল্যার ছেলে জসিম মোল্যা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঝিকরগাছা বাজারের ৪ জন নৈশপ্রহরীকে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে ও হাত বেঁধে কৃষ্ণনগর রাজাপট্টির ‘ঝিকরগাছা অটো ইলেক্ট্রনিক্যাল ওয়ার্কসপ’ নামক দোকানের তালা কেটে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ব্যাটারি লুন্ঠন করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। মুখে স্কচটেপ পেঁচানোর কারণে নৈশ প্রহরীদের মধ্যে আব্দুস সামাদ নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কৃষ্ণনগর গ্রামের ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলম অপরিচিত ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে ঝিকরগাছা থানায় ডাকাতি ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ডাতাকি ও হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়ে ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত শহীদ গাজীকে পলাতক দেখানো হয়েছে।